ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে না রাখার দারুণ জবাব দিয়ে দিলেন মুমিনুল হক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন এই টপ অর্ডার। লঙ্কান বোলারদের চারদিকে পিটিয়ে খেলে মাত্র ৯৬ বলেই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি।
Advertisement
ইনিংসের ৫৫তম ওভারে লক্ষ্মণ সান্দাকানকে পরপর দুই বলে দুটি বাউন্ডারি মেরে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটি পূরণ করেন বাংলাদেশের এই টপ অর্ডার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যে মুমিনুলের কতটা প্রিয়, তা তার ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। ক্যারিয়ারে এখনও পর্যন্ত ৫টি সেঞ্চুরির চারটিই তিনি করেছেন এই মাঠে।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কোচ থাকলে মুমিনুলের এই টেস্টেও খেলা হতো কি না সন্দেহ। সর্বশেষ ঘরের মাঠে হওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলেই মুমিনুলকে রাখেননি হাথুরু। শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনার কারণে বিসিবি প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে এবং মোসাদ্দেক সৈকতের চোখের ইনজুরির কারণে দলে সুযোগ পান তিনি। যদিও ঢাকা টেস্টে মুমিনুলকে একাদশেই রাখেননি হাথুরু।
চট্টগ্রাম টেস্টে রাখা হলেও দুই ইনিংসে ৩১ ও ২৯ রানের দুটি ইনিংস খেলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ছিলেন টেস্ট দলে। পচেফস্ট্রমে ৭৭ রানের একটি ইনিংস খেললেও পরের তিন ইনিংসে তার রান ছিল যথাক্রমে ০, ৪ এবং ১১।
Advertisement
এই পারফরম্যান্সের পর কোচ হাথুরুর রোসানলে পড়া বিচিত্র কিছু ছিল না। অথচ সেই হাথুরু এখন প্রতিপক্ষ শিবিরের ডাগআউটে। তার সামনেই সেঞ্চুরিটা করে মোক্ষম এক জবাব দিয়েছেন মুমিনুল। মুখে না বলে ব্যাট হাতে তার এই জবাবটা নির্বাচকদেরও।
বিপিএলের মত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দারুণ ব্যাটিং করার পরও ওয়ানডে ফরম্যাটের ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য দলে ডাক পাননি পরীক্ষিত এই ব্যাটসম্যান। তিন নম্বরে দীর্ঘদিন সমস্যা থাকার কারণে সাকিব আল হাসানকে মিডল অর্ডার থেকে তিনে তুলে আনা হয়েছে। যার ফলে মিডল অর্ডারে একটা শূন্যতা যে তৈরি হয়েছে, তা ত্রিদেশীয় সিরিজেই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
অথচ মুমিনুলকে দলে নিয়ে তিন নম্বরে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ দেয়া হলে দলও উপকৃত হতে পারতো। সেই যে তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, তার জবাবটা ব্যাট হাতেই দিলেন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার।
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর তামিম আর ইমরুলের ব্যাটে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ। ৭২ রানের জুটি গড়ার পর ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে আউট হয়ে যান তামিম। ৫৩ বলে তিনি করেন ৫২ রান। এরপরই মাঠে নামেন মুমিনুল। তামিমের দেখানো পথই অনুসরণ করেন তিনি। রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালাতে থাকেন। ৫৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করার পর যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। ৯৬ বলে সেঞ্চুরিই তার প্রমাণ। অথ্যাৎ পরের ৫০ করতে তিনি খেলেছেন ৩৭ বল।
Advertisement
২৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মুমিনুলের সেঞ্চুরি ৫টি, হাফ সেঞ্চুরি ১২টি। রান তোলার গড় ৪৬.৩৫ করে।
আইএইচএস/জেআইএম