জাতীয়

উপজেলায় নারী সদস্য ১০০৫ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত

উপজেলার সংরক্ষিত নারী আসনের উপনির্বাচনে এবার ১ হাজার ৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, গত সোমবার ৪৩০ উপজেলায় ১ হাজার ৪৭৬ নারী সদস্য পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এসব পদের ১ হাজার ৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২১০টির মতো পদে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। বাকি ২০০টি নারী সদস্য পদে ভোট হয়।

নির্বাচন কমিশন এসব উপজেলায় ১৪৭৬ নারী সদস্য পদে ভোটের তফসিল দিয়েছিল। এছাড়া নানা জটিলতায় ৬১টি নারী সদস্য পদে ভোট স্থগিত রয়েছে। যেসব পদে মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি, সেসবের জন্য পরে নতুন করে ভোটের তারিখ দেয়া হবে বলে জানান ফরহাদ হোসেন।

চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হলেও পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন সংরক্ষিত নারী সদস্যরা। ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য এবং পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলররা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করেন। আর এই সদস্যদের সংখ্যা উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার মোট নারী সদস্যের এক-তৃতীয়াংশের সমান।

Advertisement

উপজেলা পরিষদ গঠনের পর প্রথমবার সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোট হয় ২০১৫ সালের ১৫ জুন। তখন ৩৫২ নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই ভোটে ১০ উপজেলায় ১৩টি পদে প্রার্থী ছিল না কেউ। ভোটের দিন হবিগঞ্জে দুটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩৬ ভোটের কেন্দ্র স্থগিত করতে হয়।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাঁচ ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয়। সেক্ষেত্রে প্রথম সভা থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ জনপ্রতিনিধিদের। তাদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি-জুলাইয়ে। এরই মধ্যে ইউপি-পৌর ভোটের কারণে প্রায় দেড় হাজার নারী সদস্য পদ শূন্য হয়। এমন ১ হাজার ৪৭৬ পদে ভোটের দিন ছিল গতকাল সোমবার।

এইচএস/জেএইচ/আইআই

Advertisement