অ্যাশেজ সিরিজটা দাপটেই জিতেছে। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ক্রিকেটের সামনে রীতিমত মুখ থুবড়ে পড়েছে অজিদের পরিকল্পনা। তবে ইংলিশদের এই আগ্রাসনের মাঝেও নেতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। একটু কি ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক?
Advertisement
স্মিথের কথা শুনলে এমনটা মনে হতেই পারে। ঘরের মাঠে এত বড় ব্যবধানে হারের পর প্রতিপক্ষের প্রশংসাই তো করার কথা স্মিথের। দায় নেয়ার কথা নিজেদের কাঁধে। স্মিথ অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে ইংল্যান্ডও এমন ক্রিকেট খেলে সব জায়গায় পার পেয়ে যাবে, মানতে নারাজ তিনি। বরং বিশ্বকাপ বা বড় টুর্নামেন্টে এমন ক্রিকেট খেললে ইংল্যান্ড বিপদে পড়বে, এমন সতর্কবাণী অজি অধিনায়কের। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতেই বসবে বিশ্বকাপ। এ বছরই ইংল্যান্ডে ফিরতি ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। ঘরের মাঠে হারের বদলা নেয়ার সুযোগ তারা পাবে। স্মিথ স্বীকার করলেন, ওয়ানডেতে তারা গত এক বছর ধরেই ভালো করতে পারছেন না। তবে ছন্দে ফিরতে দলটির খুব সময় লাগবে না বলেই মনে করছেন তিনি।
বরং ইংল্যান্ড এখন যেমন ক্রিকেট খেলছে, তাতে বিপদটা তাদেরই হবে; এমন ভবিষ্যতবাণী স্মিথের। গত বিশ্বকাপে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে যেমন ফাইনালে চলে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের তোপে মেলবোর্নের ৯৩ হাজার দর্শকের সামনে স্নায়ুটা আর ধরে রাখতে পারেনি তারা। অস্ট্রেলিয়াই জিতেছে ট্রফি।
ইংল্যান্ডেরও তেমন দশা হতে পারে, স্মিথের ঈর্ষাকাতর ভবিষ্যতবাণী। ইংলিশদের অতি আগ্রাসন নিয়ে তিনি বলেন, 'ইংল্যান্ড এখন অালাদা ঘরানার ক্রিকেট খেলছে, যেখানে তারা পুরো সময়টায় আগ্রাসী থাকে। এটা কিন্তু কখনও কখনও ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। বিশেষ করে বড় কোনো টুর্নামেন্টে। আপনি হয়তো এভাবে খেলে সেমি কিংবা আরেকটু বেশি যেতে পারেন, কিন্তু এমন দিন আসবে যখন ১৫০ রানেই গুটিয়ে যাবেন।'
Advertisement
এমএমআর/পিআর