বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমপিদের মান-ইজ্জত রক্ষা করবে। তাদের ইজ্জতের কথা চিন্তা করেই এ আইন করা হয়েছে। বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ অত্যন্ত স্বচ্ছ্তার সঙ্গেই করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) নব নির্বাচিত কমিটি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তোফায়েল বলেন, গণমাধ্যমে যেভাবে এমপিদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট হয়, তাতে এমপিদের মান-ইজ্জত থাকে না। তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়, তারা তো জনপ্রতিনিধি। তাই এগুলো ঠেকাতেই এ আইন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ অনেক চিন্তা ভাবনা করেই করা হয়েছে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এ আইন করা হয়েছে। আগের আইসিটি আইনটি বিএনপির সময়ে করা ছিল। যেখানে অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সেগুলো স্পষ্ট করা হয়েছে।
Advertisement
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি-না এবং তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। তাদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে আমরা সংলাপ চেয়েছিলাম, কিন্তু বিএনপি আসেনি। এখন তারা সংলাপ চায়, কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় না। সংবিধান অনুযায়ী এ সরকারের অধীনে সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আজকের বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৯ বছরে দেশ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
এর আগে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আবুল কাশেম খানের নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তারা ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
Advertisement
উল্লেখ্য, সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে সাইবার অপরাধের শাস্তি ও জেল-জরিমানার বিধান রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুমোদন দেয়া হয়। এটি নিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এমইউএইচ/এএইচ/এমএস