পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য পরর্বতী দিন আগামী ৬ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার রিটকারীর আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে রিটকারী মো. বদিউজ্জামানের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
আদালতে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী মৌখিকভাবে তিন সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। পরে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে লিখিত আবেদন দাখিল করতে বলেন।
এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৩ মার্চ লিভ টু আপিল গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ।
Advertisement
২০১০ সালের ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন বাতিল করে রায় দেন। রায়ে শান্তি চুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ আইন অসাংবিধানিক বলে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে রায়ে পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে রাঙামাটির বাঙালি অধিবাসী মো. বদিউজ্জামান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম শান্তি চুক্তির বৈধতা নিয়ে অপর একটি রিট আবেদন করেন।
বদিউজ্জামানের রিট আবেদনের পর হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানাতে রুল জারি করেন।
এফএইচ/আরএস/পিআর
Advertisement