লাইফস্টাইল

ধরন বুঝে চুলের যত্ন

সুন্দর চুল পেতে চাইলে প্রয়োজন পড়ে নিয়মিত পরিচর্যার। তবে সব ধরনের চুলের যত্ন একইরকম নয়। শুষ্ক, তৈলাক্ত আর স্বাভাবিক- এই তিন ধরনের চুল হতে পারে। তাই চুলের যত্নও নিতে হবে সে অনুযায়ী। চলুন জেনে নেই কিভাবে এই তিন ধরনের চুলের যত্ন নেবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন : ঘুমের আগে রূপচর্চা

শুষ্ক চুলের যত্ন : শীতে যত্ন নিতে জবাফুল বাটা, ২ চা চামচ মধু, ২ চা চামচ আমলকীর রস, টক দই, ডিমের কুসুম, মেথি গুঁড়া ও ২ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুলের উজ্জ্বল ও মসৃণ ভাব ফিরিয়ে আনতে আধা মগ পানিতে লেবুর রস ও চায়ের লিকার মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে চুলের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরে আসবে।

যদি স্বাভাবিক চুলের জন্য : স্বাভাবিক পরিচর্যাই যথেষ্ট। হট অয়েল ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে দুই দিন। নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখুন। ন্যাচারাল কন্ডিশনিংয়ের জন্য চুলে তেল দিন। দিনে কয়েকবার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন, তাহলে চুলে যেমন জট হবে না তেমনি মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালনও ভালো থাকবে।

Advertisement

তৈলাক্ত চুলের যত্ন : এ রকম চুলের জন্য শুকনো রিঠা, শিকাকায়ি, আমলকী সারা রাত ভিজিয়ে পরদিন ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। তরল মিশ্রণটি শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

সপ্তাহে দু’দিন বাড়িতে তৈরি হেয়ার প্যাক লাগান। ২ চা চামচ নিমপাতা গুঁড়া, ২ চা চামচ মেথি গুঁড়া, ২ চা চামচ আমলা, ২ চা চামচ টক দই, ১টি ডিমের সাদা অংশ, আধা কাপ উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে ঘণ্টাখানেক রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

আরও পড়ুন : সাজে স্নিগ্ধতা...

খুশকি দূর করতে : নিজের চিরুনি, ব্রাশ, তোয়ালে, বালিশের কভার যথাসাধ্য পরিষ্কার ও আলাদা রাখুন। টক দই, মেহেদি পাতা বাটা, মেথি বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে পুরো চুলে ৩০-৪৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ২-৩ বার ব্যবহারেই খুশকি সম্পূর্ণভাবে চলে যাবে। চুল হয়ে উঠবে অনেক সুন্দর।

Advertisement

এইচএন/আরআইপি