প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক প্রেমিক। সোমবার সকাল ৮টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় শৌলপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মোল্লাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই প্রেমিক যুগল সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন।
Advertisement
ধরা পড়া প্রেমিক মামুন মাদবর শৌলপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গয়ঘর গ্রামের আব্দুল জলিল মাদবরের ছেলে। মামুন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামের মোসলেম ঢালীর মেয়ে রুনা আক্তারের (১৭) সঙ্গে তার বেয়াই একই ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামের আব্দুল জলিল মাদবরের ছেলে মামুন মাদবরের (২৪) তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে।
এরই মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামুন-রুনার সঙ্গে মনমালিন্য হয়। মামুনের সঙ্গে রাগ করে মোবাইলে কথা বলা, দেখা করা বন্ধ করে দেয় রুনা। এতে রুনার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় মামুন।
Advertisement
সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রুনা আক্তার কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ির ঘাটার সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে রুনার সামনে এসে দাঁড়ায়।
এ সময় প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে মামুন রুনাকে মোটরসাইকেলে তুলে কলেজে দিয়ে আসার অনুরোধ করে। কয়েকবার বলার পর রুনা রাজি না হলে তার গালে আট থেকে দশটা চড় মারে মামুন।
পরে রুনা চিৎকার করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইয়াসিন হাওলাদার, মেম্বার হারুন মোল্লা, সায়েদ মোল্লা, রস্তম ঢালী, প্রাণ কৃষ্ণ দাস, মোতালেব ঢালী, মান্নান ঢালী রুনাকে উদ্ধার করেন এবং মামুন মাদবরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মামুনকে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রুনা আক্তার বলেন, আমি শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সকালে বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ির ঘাটার সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন মামুন জোর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি যেতে না চাইলে আমার গালে আট থেকে দশটা চড় মারে। তখন আমি চিৎকার করি।
Advertisement
অভিযুক্ত মামুন মাদবর বলেন, তিন বছর ধরে রুনার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। রুনা আমার বড় ভাইয়ের শ্যালিকা। কিছুদিন আগে রুনার সঙ্গে মনমালিন্য হয়। রাগ করে সেই থেকে রুনা মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে, আমার সঙ্গে কথা বলে না, দেখাও করে না। তাই আজ দেখা করতে যাই। সেই সঙ্গে অনুরোধ করে বলি চলো মোটরসাইকেল করে কলেজে দিয়ে আসি। না যাইতে চাইলে আমি চড়-থাপ্পড় দিই।
শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইয়াসিন হাওলাদার বলেন, মামুনের সঙ্গে রুনার প্রেমের সম্পর্ক আছে। সকালে রুনাকে মামুন মোটরসাইকেল করে শরীয়তপুর নিয়ে যেতে চাইলে গ্রামের লোকজন রুনাকে উদ্ধার করে এবং মামুনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মামুন নামে একজনকে এলাকাবাসী আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
মো. ছগির হোসেন/এএম/আইআই