ঈদের দিন সকাল থেকে মশুল ধারার বৃষ্টি। ছিল দিনভর। রাতের শেষ ভাগে ছিল থেমে থেমে। রোবাবর সকাল থেকেও থেমে চলছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির কারণে ঈদ আনন্দ মনের মতো করে উপভোগ করতে পারছেন না রাজধানীবাসী। ঈদের দিন সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিতে নগরবাসী ছিলেন একরকম গৃহবন্দি। রোববার ঈদের দ্বিতীয় দিনেও টানা বৃষ্টির কারণে বাসা থেকে বের হতে পারছেন না অনেক। বিশেষ করে যারা গণপরিবহনে যাতায়াত করেন তারা এই সমস্যার সম্মখীন হয়েছেন।বৃষ্টির কারণে রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তা ঘাটে জলাবদ্ধতার করণে কোথাও কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমরপানিতে থইথই করছে। যার করণে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মগবাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও, সিদ্ধেশ্বরী, রাজারবাগ, মৌচাক, মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরেরপুল, কাকরাইল, শান্তিনগর, জুরাইন, তেজগাঁও শিল্পঞ্চল থানার পলিটেকনিক ইনস্টিট্রিউট মাঠের সামনে, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, জেনেভাক্যাম্প শেওড়াপাড়া, মিরপুর ১০, ১১, সাড়ে ১১, ১৩ এলাকায় জলাবদ্ধতার চিত্র ছিল ভয়াবহ।যার ফলে ঈদে আনন্দ করতে আসা অনেকেই বিরক্ত হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। আবার অনেককে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশায় করে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানী ঢাকায় আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রামে সোমবার বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি কম থাকবে।আবহাওয়া অধিদফতর থেকে আরো বলা হয়, রোবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকায় ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।এদিকে, রোববার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাতিয়ায় ৪৫ মিমি, কুমিল্লায় ৩৮ মিমি, ফেনীতে ৩২ মিমি, সন্দ্বীপে ৩৭ মিমি, খেপুপাড়ায় ৩২ মিমি, ঈশ্বরদীতে ৪৫ মিমি এবং সীতাকুণ্ডে ৩০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বাংলাদেশের উপর মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে রোববার সকাল ১০টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।আরএম/এসকেডি/পিআর
Advertisement