জাতীয়

৫৭ ধারা বাতিল করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুমোদন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) বিতর্কিত ৫৭ ধারাসহ কয়েকটি ধারা বিলুপ্তির বিধান রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে অপব্যবহার রোধে নতুন আইনে ৫৭ ধারাটি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ার ৬২ ধারায় বলা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারার বিলুপ্তি হবে।’

Advertisement

শফিউল আলম বলেন, ‘৫৭ ধারায় সব ছোট করে লেখা ছিল। সেটা বিস্তারিত ব্রেক-আপ দিয়ে দিয়ে যেটা যে প্রকৃতির অপরাধ সেই আঙ্গিকে শাস্তি, বেশি হলে বেশি কম হলে কম।’

‘তদন্ত কীভাবে করা হবে সেটা ডিটেইল (বিস্তারিত) করা হয়েছে, যেটা আগে ছিল না’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে সাংবাদিকদের যে উদ্বেগ ছিল তা নিরসন হল কিনা- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের ধারণা যেটা আমরা ব্যাখ্যাতে শুনেছি, আমাদের মনে হলো অনেকটাই অ্যাড্রেস করা হয়েছে। অনেক সিমপ্লিফিকেশন করা হয়েছে, প্রসেসটা অনেকটা সহজীকরণ করা হয়েছে।’

দেশের বিভিন্ন স্থানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপব্যবহার বিশেষ করে এ ধারায় সাংবাদিকদের নামে মামলার কারণে এ ধারাটির বিরুদ্ধে সমালোচনা ওঠে। ধারাটি বাতিলের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।

Advertisement

২০১৬ সালের বছরের ২২ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। তবে খসড়াটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছিলেন, ‘যারা কনসার্ন স্টেক হোল্ডার (সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী) তাদের নিয়ে বৈঠক করে এটাকে (খসড়া আইন) আরেকটু পরিশীলিত করবেন।’

এ প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কয়েক দফা সভা করার পর গত বছরের ২৯ নভেম্বর এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়। এর পরই খসড়াটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

আরএমএম/এআরএস/এসএইচএস/পিআর/আইআই