তিন মাসের বেতন না পেয়ে ঈদের আনন্দ থেকে সপরিবারে বঞ্চিত হলো পাবনা চিনি মিলের প্রায় ৭শ শ্রমিক-কর্মচারী। গত এপ্রিল মাস থেকে তারা বেতন পাচ্ছেন না। মিল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বেতন দেয়ার মত অর্থ মিলের নেই। নগদ টাকা মিলের না থাকলেও ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত পাবনা সুগার মিলে অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় ১০ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন চিনি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা।মিল সূত্রে জানা যায়, এ বছর রমযান মাস অথবা ঈদ উপলক্ষে এক কেজি চিনিও মিল থেকে বিক্রি হয়নি। ১৯৯৮-৯৯ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চিনি উৎপাদন করতে গিয়ে পাবনা সুগার মিল প্রথমেই হোঁচট খায়। ওই বছর লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক উৎপাদন করে মিলটি। এরপর থেকে আর লাভের মুখ দেখেনি এই মিল। প্রতি বছর লোকসান দিচ্ছে পাবনা সুগার মিল। বিগত ২০ বছরে এই মিলটি লোকসান দিয়েছে ২শ’ কোটি টাকা।মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, আমদানিকৃত চিনির দাম কম থাকায় দেশি চিনে গুণে-মানে ভাল হওয়া সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে না।এদিকে বেতন না পেয়ে অনেক শ্রমিক জীবন বাঁচাতে চিনি নিয়ে তা লোকশান দিয়ে সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। মিল গেটেই গড়ে উঠেছে এই সিন্ডিকেট। বেতন বঞ্চিত শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, বেতন না পেয়ে তারা পরিবারের সদস্যদের পোশাক পর্যন্ত কিনে দিতে পারেন নি। অন্যান্য বাজারও তাদের ভাগ্যে জোটেনি।আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমএস
Advertisement