ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফরহাদ (২৭) এবং রুপালী (২২)। মাত্র ৭ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। গত ৫ বছর ধরে মিরপুরের একটি বাসায় থেকে নিজের সেলুন পরিচালনার কাজ করতো ফরহাদ। একমাস আগে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িটিতে উঠে সে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ঈদের রাতেই আত্মহত্যা করলো দুজন। রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার ৫ নং লেনের বি ব্লকের একটি বাড়ি থেকে তাদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। ফরহাদের বড় ভাই দেলোয়ার বলেন, ‘৭ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। সুখের সংসার ছিল তাদের। একের অন্যের প্রতি কখনো কোন অভিযোগও ছিল না। শুনলাম গত রাতে ঝগড়া হয়েছিল। এর পরেই তারা আত্মহত্যা করেছে।’ ফরহাদের পূর্ব পরিচিত বাড়িওয়ালা আজিজুল্লাহ বলেন, ফরহাদ ৫ বছর ধরে এই এলাকায় বসবাস করে সেলুন চালাচ্ছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও সম্পর্ক ভালো ছিল। বাড়িওয়ালার ভাষ্য অনুযায়ী, শনিবার রাত একটার পর ফরহাদ ও রুপালীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এবং ফরহাদ নিজের ঘর ছেড়ে বাড়ির দোতলায় তার সেলুনের কর্মচারীদের ঘরে গিয়ে ঘুমায়। রুপালী নিজের ঘর বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। ফরহাদ ঘর ভেঙ্গে ঢুকে এ দৃশ্য দেখে আবার উপরে যায় এবং কর্মচারীর ঘরেই আত্মহত্যা করে। মিরপুর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক জাগো নিউজকে জানান, এটি আত্মহত্যা। নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে রাত দেড়টার পর যেকোনো সময়ে তারা আত্মহত্যা করেছে। তবে তদন্তের পর নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে। ঘটনাস্থলে রুপালীর পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি। উভয়ের মরদেহ মিরপুর মডেল থানায় রাখা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। এআর/এসকেডি/এমএস
Advertisement