ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ফিলিস্তিন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান সফর করবেন। ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ থেকে ১২ তারিখে তিনি তিনদেশে সফরে বের হবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
Advertisement
তবে মোদির এ সফরকে কেন্দ্র করে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার পর নতুন করে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
তবে দু'দেশের সঙ্গেই আলাদা আলাদা সম্পর্কের ভারসাম্য রেখে এগিয়ে যেতে চায় নয়াদিল্লি। আগামী মাসেই ফিলিস্তিন সফর করবেন মোদি। তার এ সফরে প্রথমবারের মতো কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনে সফর করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ফিলিস্তিনের রামাল্লায় যাবেন মোদি। গত বছরই ইসরায়েলে সফরে গিয়েছিলেন তিনি। এদিকে, গত সপ্তাহেই ভারতে সফর করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
Advertisement
গত বছরই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েলে সফরে গিয়েছিলেন মোদি। তারপর এ প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পা রাখতে চলেছেন ফিলিস্তিনে। স্বাভাবিকভাবেই এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
গত বছর ইসরায়েল সফরে গেলেও ফিলিস্তিনের পথ মাড়াননি মোদি। সে সময় প্রশ্ন উঠেছিল, ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন সম্পর্কের রসায়ন গড়তেই ফিলিস্তিনকে এড়িয়ে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
জেরুজালেম প্রশ্নে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ইসরায়েলের বিপক্ষেই ভোট দিয়েছে ভারত। ফিলিস্তিনের সঙ্গে জেরুজালেম নিয়ে লড়াইয়ে ভারত যে ইসরায়েলের বিপক্ষে তা স্পষ্ট করার পরেও নেতানইয়াহুর সফরে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। এবার ফিলিস্তিন সফরে গিয়ে ভারতের অবস্থান আরও স্পষ্ট করতে চলেছেন মোদি।
ফিলিস্তিন ছাড়াও দুবাইয়ে সিক্সথ ওয়ার্ল্ড গর্ভনমেন্ট সামিট-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত মোদি। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্য-সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
Advertisement
টিটিএন/আইআই