মানুষের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ও অভিভাবক হলেন আল্লাহ তাআলা। তাঁকে তাঁর ‘ইসমে আজম’-এ ডাকলে তিনি বান্দার ডাকে সাড়া দেন। বান্দা যদি তাঁকে ‘ইসমে আজম’ সহকারে ডাকার মাধ্যমে তাঁর কাছে কোনো কিছু সাহায্য চায়; তিনি ওই বান্দাকে তা দান করেন।
Advertisement
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় উম্মতের জন্য এ সুসংবাদ হাদিসে পাকে উল্লেখ করেন। বান্দা যাতে আল্লাহ তাআলাকে তাঁর ‘ইসম আজম’-এর মাধ্যমে ডাকে এবং সাহায্য প্রার্থনা করেন।
হজরত বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে (আবু মুসা) এ রূপ বলতে শুনলেন যে-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ ،لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ ،الَّذِي لَمْ تَلِدْ وَلَمْ تُولَدْ ،وَلَمْ يَكُنْ لَكَ كُفُوًا أَحَدٌ
Advertisement
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নাকা আংতাল্লাহু; লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদ; আল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ; ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ, তুমি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, তুমি এক, অনন্য, মুখাপেক্ষীহীন ও অন্যদের নির্ভরস্থল। যিনি জনকও নন, জাতও নন এবং যার কোনো সমকক্ষ নেই।’
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সে আল্লাহকে তাঁর ইসমে আজম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামের সঙ্গে ডাকল। যা (ইসমে আজম) দ্বারা যখন কেউ তাঁর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং যা দ্বারা যখন কেউ তাঁকে ডাকে, তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)
আরও পড়ুন
Advertisement
উম্মাতে মুহাম্মাদির উচিত, আল্লাহ তাআলাকে তাঁর ইসমে আজমের সঙ্গে ডাকা বা আহ্বান করা। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ঘোষিথ দোয়ার মাধ্যমে প্রিয়নবির শেখানো ইসমে আজম-এর মাধ্যমে আহ্বান বা প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস