চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) বসিয়ে সাজা দেয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজনের বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
রোববার শুনানিতে আদালত বলেন, এটা কোন ধরনের খেলা চলছে। একজনকে গ্রেফতারের পর আবার তাকে মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়া।
পরে এ বিষয়ে আরও শুনানি এবং আদেশের জন্য সোমবার দিন ঠিক করেন আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন।
Advertisement
আদালতে আজ রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। (ইউএনও) এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি তাদের তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিতে আজ রোববার সকালে হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন ইউএনও এবং ওসি চারজন। তারা হলেন-নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) মাহবুব আলম, ওসি মো. শাহজাহান, এসআই হেলাল খান ও ওয়াসিম।
দুই পুড়িয়া গাঁজা পাওয়ার অভিযোগে আট মাসের সাজাপ্রাপ্ত বেলাল উদ্দিন রিট আবেদন করেছিলেন হাইকোর্টে। আইনজীবী বলেন, বেলাল উদ্দিনকে অন্য একটি মামলায় ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে চালান করে পুলিশ। কিন্তু ১৪ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেখানো হয়, ওই দিন ১২টা ১০মিনিটে ২ পুড়িয়া গাঁজাসহ তার গ্রামের বাড়ি থেকে ধরা হয়। এতে বোঝা যায়, পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বেলাল উদ্দিনকে সাজা দেয়; যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দেয়া সাজা কেন বাতিল করা হবে না, এ আদালতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না এবং বেলাল উদ্দিনকে ২০ লাখ কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আজ নির্ধারিত দিনে শুনানিতে আদালত আগামীকাল আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন।
Advertisement
এফএইচ/এনএফ/এমএস