আইন-আদালত

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রিটের শুনানি খারিজ

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের শুনানি ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

ইশরাত জাহান জানান, রিটকারী আইনজীবী শুনানির সময় উপস্থিত না থাকায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত রিট ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করেন আদালত।

তিনি বলেন, রিটের ওপর শুনানির নির্ধারিত দিন রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এটি ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেন।

গত ২১ জানুয়ারি প্রথম দিনের শুনানি শেষ করে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান উপস্থিত ছিলেন। তবে শুনানির সময় রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন না।

Advertisement

এর আগে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে দাখিল করা রিট আবেদন হাইকোর্টের নিজ নিজ বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন পৃথক চারটি আদালত।

উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য থাকা এবং নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ না দেয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ গত ৩ জানুয়ারি রিট করেন। পাশাপাশি আইনজীবীদের মধ্যে থেকে সরাসরি আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ করা কেন হবে না, সে বিষয়েও রুল জারির জন্য বলা হয়েছিল। রিটে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, আইন সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল (সুপ্রিম কোর্ট) এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে বিবাদী করা হয়।

রিট দায়ের প্রসঙ্গে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেছিলেন, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কারও ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু ১৯৭২ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত আইনজীবীদের মধ্য থেকে আপিল বিভাগে সরাসরি কোনো বিচারক বা প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়নি। অথচ হাইকোর্ট বিভাগ থেকেই আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ দিতে হবে কিংবা পদোন্নতি দিয়ে আপিলে নিয়ে যেতে হবে- এমন কোন বিধানও আমাদের সংবিধানে নেই। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে প্রধান বিচারপতি পদও শূন্য রয়েছে। এ জন্য দুটো বিষয়কে মিলয়ে সাংবিধানিক বিষয়ে এ রিটটি করা হয়েছে।

পরে ওই রিট আবেদনটি হাইকোর্টের পৃথক চারটি বেঞ্চে থেকে শুনানি গ্রহণ না করে ফেরত দেয়া হলে ১৯ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট এই বেঞ্চ তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ওই বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর শুনানি শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষে প্রস্তুতির জন্য সাত দিন সময় চেয়ে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

Advertisement

সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে গত ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।

এফএইচ/এনএফ/এমএস/আইআই