সিরিয়ার কুর্দি গেরিলারা আফরিন শহরে গুলি চালিয়ে তুরস্কের একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে। শনিবার সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) এক প্রতিনিধি রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক'কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
স্পুটনিক বলছে, সিরিয়ার অন্য একটি গ্রামে তুরস্কের দু’টি গোয়েন্দা ড্রোনও ভূপাতিত করার দাবি করেছে এসডিএফ।
তবে তুরস্কের সেনাবাহিনী বলছে, নতুন করে শুরু হওয়া আফরিন অভিযানে কুর্দি ও জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৩৯৪ সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া তাদের ৩৪০টি অবস্থান ধ্বংস করা হয়েছে। এদিকে, তুরস্কের ৩০৮ সেনাসদস্যকে হত্যার দাবি করেছে কুর্দি গেরিলাদের সংগঠন এসডিএফ।
তবে কোনো পক্ষের এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, তার দেশের স্থল সেনারা উত্তর সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত আফরিন এলাকায় ঢুকে পড়েছে।
Advertisement
তারা আফরিন এলাকা থেকে কুর্দি জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিয়ে ৩০ কিলোমিটার নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে। তবে কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজি এ খবর অস্বীকার করেছে।
তুরস্ক ওয়াই পিজিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে। তাদের ধারণা তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দি জঙ্গি সংগঠন পিকেকের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনকে সহায়তা করেছে ওয়াইপিজি। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এক পরিকল্পনা করে যে ইসলামিক স্টেটের ফিরে আসা ঠেকাতে তারা সিরিয়ায় তুরস্ক-সীমান্ত বরাবর নতুন একটি সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করবে; যা হবে প্রধানত কুর্দি-প্রধান।
এর পরই তুরস্ক ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে এবং এই বাহিনীকে আঁতুড়ঘরেই নির্মূল করার ঘোষণা দেয়। তুরস্ক নিজে নেটো সদস্য হলেও এই জোটের সাথে তাদের এখন সরাসরি সংঘাত দেখা দিয়েছে।
Advertisement
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া, আমেরিকা এবং সিরিয়াসহ সব পক্ষকে আগে জানিয়েই এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। সিরিয়া অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছে।
এসআইএস/এমএস