তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক অধিকার

প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের আরো কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের কাছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছাতে হবে। ইন্টারনেট এখন মানুষের মৌলিক অধিকারে পরিণত হয়েছে।

Advertisement

শনিবার বাগেরহাটের রামপালে অনুষ্ঠিত জ্ঞানমেলায় বক্তারা এসব কথা বলেন। স্থানীয় শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ১০ম বারের মতো এ মেলার আয়োজন করে জ্ঞানমেলা পরিষদ। সহযোগিতায় ছিল আমাদের গ্রাম উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প ও উদ্দীপন।

সকালে মেলার উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে- উন্নয়নে গণসম্পৃক্ত প্রযুক্তির বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল, উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপনের নির্বাহী পরিচালক ইমরান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জ্ঞানমেলা পরিষদের আহ্বায়ক শেখ আব্দুল জলিল।

Advertisement

পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার বলেন, প্রযুক্তি এখন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীরা স্বাবলম্বি হয়ে উঠছে। ঘরে বসেই আয় করছে। মানুষ নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। নানা কাজের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে এধরনের মেলা ভূমিকা রাখতে পারে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, চতুর্থবারের মতো জ্ঞানমেলা এলাম। মেলায় প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনগুলোতে সাধারণ মানুষের অনেক আগ্রহ। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে এ ধরনের মেলার আয়োজন করা দরকার। এর মাধ্যমেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন। এটি দিয়ে শুধু মানুষ এখন কথাই বলে না। নানা কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। এজন্য প্রযুক্তিকে মানুষের আরো কাছে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু অনেক সময়ই কাজগুলো হচ্ছে না। অনেকেই মনে করে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সাধারণ মানুষ যদি ক্ষমতাবান হয়ে যায় তাহলে কি হয় না হয়! প্রযুক্তি সবচেয়ে বড় ক্ষমতা হলো সে কোন কিছু মানে না। মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবন করতে হবে। যাতে মানুষ উপকৃত হয়।

এদিকে সকাল থেকেই মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল ক্যারাম, দাবা, আবৃত্তি, নাচ, রচনা, দেশাত্মবোধক গান প্রতিযোগিতা। দিনব্যাপী মেলায় সরকারি-বেসরকারি ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। যারা নিজেদের বিভিন্ন উদ্ভাবন প্রদর্শন করে।

Advertisement

এএ/আরআইপি