ব্যাটসম্যানদের যারপরনাই ব্যর্থতার কারণে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের সামনে ভরাডুবি ঘটেছে বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটারদের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যুবাদের দৌড় থেমে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালেই। সাইফ হাসানদের ১৩১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ভারতই উঠে গেলো সেমিফাইনালে।
Advertisement
যুবাদের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ- চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে হার। বাংলাদেশ-ভারতের সেমিফাইনালের দ্বৈরথ শেষ হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পর যখন একটা বিধ্বস্ত অবস্থা যুবদল শিবিরে। এ রকম ভাঙা হাটের মধ্যেই খবর আসলো, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আপনি টেস্ট দলে।’
আচমকা আকাশ থেকে চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই বিস্ময়কর ঠেকলো নাঈম হাসানের কাছে। যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অকপটে স্বীকার করে ফেললেন, ‘আমি কী টেস্ট দলে! এটা তো কল্পনাই করতে পারছি না!’
বিস্ময়ের ঘোর তখন চোখে-মুখে। বিস্ময়ভরা কণ্ঠে বলেই যাচ্ছেন নাঈম, ‘সাকিব ভাই, তামিম ভাই, আর মুশফিক ভাইদের সাথে ড্রেসিং রূম শেয়ার করবো, খেলবো একসঙ্গে এ যে কল্পনারও অতীত! খুব ভালো লাগছে। কত যে ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না।’
Advertisement
১৭ বছর মাত্র পার হয়েছে কিছুদিন আগে। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতে পারবে এখনও কম করে দুই বছর। তরুণ অফস্পিনার। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন মোটে ৪টি। উইকেট নিয়েছেন মোট ৯টি। সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৮৪ রানে ৪ উইকেট। ইনিংসের শেষ দিকেও ভালো ব্যাট চালাতে পারেন হয়তো। ৪ ম্যাচে সংগ্রহ ৫৮ রান। সর্বোচ্চ ২৭ রান।
সর্বশেষ বিপিএলে চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে দুটি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে পেয়েছেন ১টি মাত্র উইকেট। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে উইকেটও পাননি। তবুও তার বলে কী ক্যারিশমা, নির্বাচকরা এই বয়সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলের জন্য বাছাই করে নিয়েছেন। বিস্ময়ের ঘোর কাটতে এই যুবার হয়তো আরও বেশি কিছুদিন সময় লেগে যেতে পারে!
আইএইচএস/পিআর
Advertisement