নেই যানজট, নেই মানুষ আর গাড়ি-ঘোড়ার ভিড়। আজ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়েছেন ৬০ লাখের বেশি মানুষ। আর এতেই ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলো।শনিবার ঈদের দিন রাজধানীর চাঁনখারপুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেত, কাটাবন, এ্যালিফেন্ট রোড, হাতিরপুল এলাকা ঘুরে চোখে পড়লো অচেনা এক নগরী। নেই নিত্যদিনের যানজট আর কর্মজীবী মানুষের ব্যস্ততা। আপন সুখে মাঝ রাস্তা দিয়ে হাটছেন কেউ কেউ।অথচ কিছুদিন আগেই বিশ্বের বসবাসের জন্য সবচেয়ে অযোগ্য ১০ টি শহরের নামের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। বৃটিশ সাময়িকী ‘দ্যা ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ (ইআইইউ) এটি প্রকাশ করেছিল। তালিকায় আভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সেবার মান, তাপমাত্রা, পরিবহণ যোগাযোগের বিষয়ের ওপর গবেষণা চালিয়ে ঢাকাকে বসবাসের জন্য ‘অনুপুযুক্ত’ বা ‘অযোগ্য’ বলেছিল ইআইইউ।তবে এই ঢাকার চিত্র দেখলে অনেকটা অবাকই হবেন ওইসব গবেষকরা। ইটপাথরে ঘেরা যান্ত্রিক এই শহরের রাস্তা ঘাট এখন ফাঁকা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ঢাকাবাসী। অল্প সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাওয়ার আনন্দটা ছাপিয়ে গেছে ঈদের আনন্দটাকে।বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজাদ। রামপুরা ব্রিজ থেকে প্রতিদিন আড়াই-তিন ঘণ্টায় নিজ বাড়ি সদরঘাট পৌঁছান। তবে এদিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে আসতে সময় লেগেছে মাত্র ৪০ মিনিট। বাস থেমে থেমে এসেছে বলে এই সময়টুকু লাগছে। তানাহলে আরো কম সময়ে আসা যেত বলে জাগো নিউজকে জানান আজাদ। তিনি বলেন, আমার গ্রামের বাড়ির লোকজন যানজটের কারণে ঢাকায় আসতে ভয় পায়, বলে হাঁটাচলার জায়গা নেই। তবে এই ঢাকা অনেক ভিন্ন। এভাবে রাজধানীতে চলাফেরা করতে পারলে আমাদের কাজের গতি অনেক বাড়তো। ঢাকাকে কেউ আর ভয় পেত না।রংপুরের রিকশাচালক জাহিদুল বললেন, ঢাকা যদি এমন থাকতো তাহলে আমরা আর রং সাইড দিয়ে রিক্সা চালাতাম না। ভিআইপি রোডে ঘুষ দিয়ে ঢুকতাম না।এদিকে মগবাজার এলাকার সড়কে ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখা গেলেও কোনো বেগ পেতে হয়নি তাদের। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অনেকটা অলস সময় পার করতে দেখা গেছে তাদের। এআর/পিআর
Advertisement