দেশজুড়ে

মাকে হত্যার পর রক্তাক্ত শরীরে সিগারেট কিনতে গেল ছেলে

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বৃদ্ধা মাকে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুনের অভিযোগে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে মিলনকে (৩৫) আটক করে পুলিশে তুলে দিয়েছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে। তবে পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে দুদিন আগে।

Advertisement

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়িতে।

রূপসা উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৬০) পৃথক একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মিলন (৩৫) জন্মের পর থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে মিলন মায়ের সঙ্গেই থাকেন। ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন বিয়ে করে অন্য জায়গায় বসবাস করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুকী জাগো নিউজকে জানান, লাশের কাছে যাওয়া যাচ্ছে না দুর্গন্ধের কারণে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতক মিলন তার মাকে দুই একদিন পূর্বে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরেই ফেলে রাখে।

Advertisement

স্থানীয়রা জাগো নিউজকে জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মিলন বাড়ির অদূরে একটি চায়ের দোকানে সিগারেট কিনতে আসলে স্থানীয় লোকজন তার গায়ে রক্ত দেখে সন্দেহ হয়। পরে কিছু লোকজন তার বাড়ি গিয়ে তার বৃদ্ধা মায়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ ঘরের চৌকির উপর পড়ে থাকতে দেখে। এছাড়া তার মায়ের হাতের একটি কবজি ভাতের পাতিলে পানিতে ভেজানো দেখতে পায়।

প্রতিবেশী ইব্রাহিম জাগো নিউজকে জানায়, মিলনের মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। সে কিছুদিন ভালো থাকে আবার কিছুদিন ভিন্ন রকম আচরণ করে। কয়েক বছর পূর্বে তার মাকে আরও একবার জবাই করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে সে ৬ মাস জেলে থাকার পর বেরিয়ে আসে।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রাজীব কুমার দাশ জাগো নিউজকে জানান, মাকে হত্যার সন্দেহে ছেলে মিলনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর পাঠানো হবে।

ইকরাম চৌধুরী/এমএএস/আইআই

Advertisement