জাতীয়

রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা থানা স্থাপনের সুপারিশ

রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালংসহ সংশ্লিষ্ট এলাকা নিয়ে আলাদা থানা স্থাপনের সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একই সঙ্গে কমিটি ওই এলাকায় বেষ্টনী দেয়ারও সুপারিশ করেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

Advertisement

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আর্মড পুলিশ সেখানে কাজ করছে। কিন্তু বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার সংখ্যাতো ১০ লাখ। তাদের সুরক্ষার বিষয়টিও দেখতে হবে। সেজন্য আমরা পুলিশের একটি আলাদা থানা স্থাপন করার সুপারিশ করেছি।

তিনি জানান, কুতুপালং ক্যাম্পসহ কক্সবাজারে অবস্থিত সব রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ফেন্সিং’ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

এদিকে বৈঠকে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা ১০ লাখ ৩৮ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়েছে। এর ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারবেন না। বৈঠকে আরও জানানো হয়, কুতুপালংয়ে অবস্থিত ১৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ও এককভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম শরণার্থী ক্যাম্পে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

Advertisement

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজারের বনাঞ্চল যাতে হুমকির মুখে না পড়ে সেজন্য কমিটি রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করেছে। কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মো. ফরিদুল হক খান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফখরুল ইমাম এবং কামরুন নাহার চৌধুরী অংশ নেন।

এইচএস/জেডএ/জেআইএম