শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা তিনদিনের ধর্মঘট শেষে নতুন কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছেন না এমপিওভুক্ত শিক্ষরা। তবে চলমান অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন তারা। জাতীয়করণের দাবিতে ১৫ জানুয়ারি থেকে তারা ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। আর গত তিনদিন সারাদেশের প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলেছে। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের মতো ধর্মঘট পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
Advertisement
গত তিনদিন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের অমরণ অনশনে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা বেড়েছে। শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠনের জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের’ ব্যানারে খোলা আকাশের নিচে কম্বল ও কাগজ বিছিয়ে বসে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
লিয়াঁজো ফোরামের যুগ্ম সচিব অধ্যক্ষ আব্দুল হাকিম জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর আশ্বাসে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি না। তিনি (প্রতিমন্ত্রী) প্রধামন্ত্রীর কাছে আমাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এরপরেই আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাই ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের আমরণ অনশন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয়করণের আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন। দিনদিন এ আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর করে তোলা হবে।
Advertisement
এদিকে, টানা আন্দোলনে এখন পর্যন্ত মোট ১৩০ জন শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা দাবি করেছেন। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কেউ আবার সুস্থ হয়ে আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। কেউবা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ মাইকে তাদের দাবি পূরণে আন্দোলন চালিয়ে যেতে উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন।আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্যদূরীকরণে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সারাদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এমএইচএম/জেডএ/আইআই
Advertisement