২০১২ সালে ধুমকেতুর মত উদয় হয়েছিল তার। খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে করেছিলেন অনবধ্য সেঞ্চুরি। ১১০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছিলেন তিনি। এরপর কেটে গেছে ৬টি বছর। কিন্তু পেসার আবুল হাসান রাজুর জন্য বলতে গেলে ওই একটি মাত্র কৃতিত্বই রয়েছে পুরো ক্যারিয়ারে।
Advertisement
বাজে ফর্ম আর ধারাবাহিকতা না থাকার কারণে, নিয়মিত দলে সুযোগ পান না। ২০১৫ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও রাজু ছিলেন পুরোপুরি ফ্লপ। ৫ ওভার বল করে ৪২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
৩ বছর পর আবারও দলে ফিরলেন তিনি। সর্বশেষ বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্স দিয়ে জায়গা করে নিলেন জাতীয় দলে। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে সুযোগ না পেলেও রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে সানজামুলের পরিবর্তে সুযোগ দেয়া হলো রাজুকে।
এবার অন্তত অভিষেক উইকেটটার প্রত্যাশায় ছিলেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে তিনিও ছিলেন ব্যর্থ। করেছেন মাত্র ৭ রান। বল হাতেও যারপরনাই ব্যর্থ। শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৮৩ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর আবুল হাসানকে দিয়েই একপ্রান্ত থেকে বোলিং ওপেন করান মাশরাফি; কিন্তু ৪ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে এবারও থাকলেন উইকেটশূন্য।
Advertisement
লঙ্কান দুই ওপেনার থারাঙ্গা আর গুনাথিলাকা বিপদে পড়তে পারে এমন কোনো বলই তিনি করতে পারেননি। বরং ছক্কা খেয়েছেন ২টি এবং বাউন্ডারি খেয়েছেন ১টি।
এখনও পর্যন্ত ৭টি ওয়ানডে খেলে আবুল হাসান রাজুর বোলিং ফিগার, ২১৬ (বল)-২৪৪(রান)-০(উইকেট)-৬.৮৪ (ইকনোমি রেট)। আবুল হাসান রাজুর এই দুর্ভাগ্য সত্যি সত্যি কাটবে কবে!
আইএইচএস/এমএমআর/আইআই
Advertisement