বাংলাদেশের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হলেও শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। হারলে তাকিয়ে থাকতে হতো নানা হিসেব-নিকেশের দিকে। তবে সেই পথে হাঁটল না লঙ্কান বাহিনী। বাংলাদেশকে মাত্র ৮২ রানে আটকে দিয়ে কোন উইকেট না হারিয়ে ১২তম ওভারেই জয় তুলে নিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
Advertisement
টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয়াটাই যেন কাল হয়েছে বাংলাদেশের। শুরু থেকেই টাইগার ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন লঙ্কান বোলাররা। স্বাগতিকদের ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি, আগের তিন ম্যাচে দাপুটে জয় নিয়ে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে এই দলটিই।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। শুরুতেই অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে শরীর না নিয়ে গিয়ে শট খেলেছেন এনামুল হক বিজয়, মাশুল দিয়েছেন স্ট্যাম্পে বল ঢুকিয়ে। সুরাঙ্গা লাকমলের ওই ডেলিভারিতে শুন্য রানেই বোল্ড তিনি।
এরপর গুনাথিলাকার দুর্দান্ত এক থ্রোতে ৮ রান করে রানআউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান। দারুণ ধারাবাহিক তামিম ইকবালকে শর্ট বলে বিভ্রান্ত করেছেন লাকমল। তবে গুনাথিলাকা যেভাবে ক্যাচটি নিয়েছেন, তাতে তামিম নিজের ভাগ্যকে দুষতেই পারেন। ৫ রান করে তামিম যখন সাজঘরে ফিরছেন, ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে তখনই বিপদ টের পায় বাংলাদেশ।
Advertisement
শুরুর এই ধাক্কা এরপর আর সামলে উঠা সম্ভব হয়নি। মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ আরও একবার ব্যর্থ। ৭ রান করে লাকমলের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন তিনি। এরপর সাব্বির রহমান (১০), আবুল হাসান (৭) কিংবা নাসির হোসেনের (৩) মধ্যেও বিপর্যয় সামলে নেয়ার চেষ্টা দেখা যায়নি।
যা একটু লড়াই করেছেন মুশফিকুর রহিম। তবে তিনিও ২৬ রানের বেশি এগোতে পারেননি। দলের বিপর্যয়ের মুখে ৫৬ বল মাত্র একটি চারে এই রান করেন তিনি। অধিনায়ক মাশরাফি করেন মাত্র ১ রান। সবমিলিয়ে ২৪ ওভারেই ৮২ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে টাইগারদের পাত্তাই দেয়নি শ্রীলঙ্কা। আগের ম্যাচে বড় হারের প্রতিশোধ নিতেই যেন রীতিমত চড়াও হয়ে খেলেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। ১১.৫ ওভারে জয় তুলে নিয়েছে তারা। গুনাথিলাকা ৩৫ আর উপুল থারাঙ্গা অপরাজিত ছিলেন ৩৯ রানে।
এমএমআর/এমআর/পিআর
Advertisement