হাতি লাথি মেরেছিল আগেই। ভেঙেছিল কোমর। তবে তাতেও চিৎকার করার কোনো উপায় ছিল না। কারণ হাতি যদি ওখানে জীবন্ত কিছুর অস্তিত্ব টের পেতো তবে হয়তো শুঁড়ে তুলে আছাড় মেরে বসতো।
Advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে। ভারতের আলিপুরদুয়ারের দমনপুর রেঞ্জ সংলগ্ন উত্তর জিৎপুর গ্রামের তারা দেবী নামে এক নারীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা এটি।
তিনি জানান, ভোরে বেড়া ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার। বুঝতে পারেন, হাতি এসেছে। পাশে থাকা স্বামীকে ডাকতে থাকেন তিনি। ততক্ষণে হাতিটি বেড়া ভেঙে তাকে খাট থেকে টেনে নামিয়ে আনে মাটিতে। ভয়ে দরজা খুলে স্বামী বাইরে পালান। শাশুড়ি পাশের ঘরে লুকিয়ে ছিলেন।
তারা দেবীকে মাটিতে ফেলে কোমরে প্রথমে লাথি মারে হাতিটি। এরপর পা দিয়ে তাকে ঠেলতে থাকে। তবে পরনে সোয়েটার থাকার কারণে শুঁড় দিয়ে ধরতে অসুবিধা হচ্ছিল হাতিটির।
Advertisement
সে সুযোগটিই কাজে লাগান তারা দেবী। গড়াতে গড়াতে চলে যান উঠোনের দিকে। উঠে দাঁড়ানোর শক্তি না থাকায় উঠানে ঘাপটি মেরে পড়েছিলেন তারা দেবী। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারেন সেখানেও হাজির হয়েছে হাতিটি।
এরপর মরার মতোই পরেছিলেন তারা দেবী। কতক্ষণ ছিলেন নিজেও জানেন না। শাশুড়ির ডাকে একসময় তিনি বুঝতে পারেন হাতিটি গেছে।
সূত্র: আনন্দবাজার
এনএফ/আরআইপি
Advertisement