আন্তর্জাতিক

শিশু জয়নব হত্যা : ধর্ষক রিমান্ডে

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুর এলাকার ছয় বছর বয়সী শিশু জয়নবকে অপহরণ ও ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সন্দেহভাজন মূল হোতাকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন দেশটির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন ধর্ষকের ১৪ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়।

Advertisement

বুধবার ইমরান আলি নামের ওই সন্দেহভাজন ধর্ষককে আটক করে পুলিশ। জয়নবের এলাকার বাসিন্দা সে। শিশু জয়নবকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছে ইমরান আলি। এছাড়া ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে তার ডিএনএর নমুনা মিলেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ওই ধর্ষককে আটকের পর তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা।

ডন পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সাজ্জাদ আহমেদের উপস্থিতিতে আদালতে হাজির করা হয় ইমরান আলিকে। সে সময় তার মুখ চাদরে ঢাকা ছিল। পাঞ্জাবের এলিট পুলিশ ফোর্স তাকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছিল।

রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটর আবদুল রওফ ওয়াত্তু আদালতের কাছে ১৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান যেন সন্দেহভাজন ওই ধর্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা। ধারণা করা হচ্ছে ইমরান আলি ধর্ষণ, পেশাদার খুন এবং আরও বেশ কিছু অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

Advertisement

আদালতে ওয়াত্তু বলেন, ইমরান আলিকে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছেন যে, সে এর আগেও শিশুদের মিষ্টি বা চকলেটের লোভ দেখিয়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে গেছে।

ইমরান আলির বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে জানার পর আদালত ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কঠিন নিরাপত্তার মধ্যে কাউন্টার টেরোরিসম ডিপার্টমেন্টের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয় ইমরান আলিকে।

পাঞ্জাবের মুখ্য মন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, ওই নরপশুর ডিএনএ এবং পলিগ্রাফ পরীক্ষার নমুনা মিলেছে। ওই ধর্ষকের অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দাবি জানান তিনি। শেহবাজ শরীফ আইন পরিবর্তনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি জয়নবের পরিবারের পরিচিত। সে প্রায়ই জয়নবের বাড়িতে যাওয়া আসা করত।

গত ৫ জানুয়ারি বাড়ির কাছে আরবী পড়তে যায় জয়নব। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। সে সময় তার বাবা-মা ওমরাহ পালন করতে সৌদিতে অবস্থান করছিলেন। তারা জয়নবকে তাদের এক আত্মীয়র বাসায় রেখে গিয়েছিলেন। ৯ জানুয়ারি শিশুটির মরদেহ কাসুরের একটি ময়লার স্তুপ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

টিটিএন/আরআইপি