বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফের মারমুখী অবস্থান নিয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের মারমুখী অবস্থানে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাসগুলো। আধিপত্য বিস্তারের নামে ছাত্রলীগের এহেন কর্মকাণ্ডে আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।
Advertisement
ছাত্রলীগের অবস্থানকে সঠিক বলে মত দিলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংগঠনটির সাবেক নেতাদের কেউ কেউ। তারা মনে করেন, ছাত্রলীগ সবচেয়ে বড় সংগঠন। ছাত্র রাজনীতির ইমেজ রক্ষায় ছাত্রলীগের দায় রয়েছে। যা ঘটছে, তার অনেক কিছুই অপ্রত্যাশিত।
গতকাল মঙ্গলবার ছাত্রী নিপীড়নে জড়িত ছাত্রলীগকর্মীদের বহিষ্কারের দাবি পূরণ না হওয়ায় ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী’ ব্যানারে দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে একদল শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা। অন্তত তিনটি ফটক ভেঙে তারা উপাচার্যের দরজার সামনে করিডোরে অবস্থান নেন। তিন ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান পেছনের ফটক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীরা তাকে আটকে দেন। পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি দল উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে যায় এবং রড-লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়। এতে প্রায় ১২ থেকে ১৫ শিক্ষার্থী আহত হন।
বাম সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করা এবং ছাত্রলীগের নারীকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধন করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে তারা পাঁচ দফা দাবিতে ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করেন।
Advertisement
এদিকে, মঙ্গলবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আজ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয় ছাত্রলীগ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা।
এছাড়া আধিপত্য বিস্তার ও র্যাগ দেয়া নিয়ে এদিন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারির ঘটনায় ১১ শিক্ষার্থী আহত হন।
ধারাবাহিক এসব ঘটনা এবং সারাদেশের ক্যাস্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারমুখী আচরণের বিষয়ে কথা হয় ছাত্র সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের ক্যাম্পাসে যা ঘটছে তা কাম্য নয়। আবার বহিরাগতদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর আক্রমণ করা হলো। ভাঙচুর করা হলো। এটিও কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ছিলো না।’
‘সংগঠনের সাবেক কর্মী হিসেবে মনে করি, ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ডে যেন শিক্ষাব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।’
Advertisement
ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় অহিংস আন্দোলন করে আসছি। প্রশাসন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা করলো। আবার উল্টো সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করলো প্রশাসন। ছাত্রলীগ ও প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন অবশ্য আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থানকে সঠিক মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘বহিরাগতদের নিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর আঘাত তো ছাত্রলীগ সহ্য করবে না। বাম সংগঠনগুলোর অবস্থান সবার কাছেই পরিষ্কার এখন।’
তবে তিনি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ছাত্রলীগের অবস্থানকে অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি ছাত্রলীগকে আরো সহনশীন ও দায়িত্বশীল আচরণের পরামর্শ দেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ছাত্রলীগের মারমুখী এসব কর্মকাণ্ডকে দুঃখজনক বলে মত দেন। তিনি বলেন, ‘যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর চড়াও হয়েছেন তারা অন্যায্য কাজ করেছেন। আবার ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ যা করছে, সেটাও বাড়াবাড়ি বলে মনে করি।’
ছাত্রলীগের ঢাবি ভিসির কার্যালয় ঘেরাও
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর এবার পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করে ঢাবি ছাত্রলীগ। আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টা দিকে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করেন।
তারা বলেন, ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি ও ভিসি স্যার আমাদের সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাবি উপাচার্যে কার্যালয়ে ‘হামলাকারী’দের বিচার দাবি করে ছাত্রলীগ। পরে রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে- ১. ঢাবি উপাচার্যের ওপর হামলাকারী ও ভাঙচুরকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি এবং অবিলম্বে বহিষ্কার; ২. সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের ওপর হামলাকারী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, তানভীর আহমেদ মুঈন, বেনজীর, তুহিন কান্তি, সাদিক রেজা, তমা, সুদীপ্ত, সালমান, ইভা, তমা শাকিল, ইরা, সোহেল রিফাত, সিদ্দীকী, জামিল, মিথিলাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেফতার; ৩. প্রোক্টর অফিস ভাঙচুরকারী এবং প্রোক্টর অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলাকারীদের বহিষ্কার; ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ক্যামেরা ভাঙচুরকারী এবং ক্যামেরাম্যান ও উপাচার্য অফিসের কর্মচারী ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি; ৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ যারা নষ্ট করতে চায় তাদেরকে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনা।
এমসি কলেজে ছাত্রফ্রন্টকে ছাত্রলীগের ধাওয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনবিরোধী প্রগতিশীল ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সিলেটের এমসি কলেজে কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীদের। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, একটি বাম সংগঠন ক্যাম্পাসে মিছিল করতে চাইলে ছাত্রলীগ বাধা দেয়। তবে মারামারি কিংবা কেউ আহত হয়নি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা
এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। আচ দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী বিয়ষটি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নিপীড়নবিরোধী’ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জনের একটি দল মিছিলে হামলা চালায়। এতে ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী ও রিজু লক্ষ্মীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের বর্তমানে চবি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং দুপক্ষকে সরিয়ে দেন।
হামলার বিষয়ে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী দাবি করেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে তাদের মিছিলে হামলা চালায়। এতে ২০-২৫ জন আহত হয়। এর প্রতিবাদে বিকেলে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়েছে।
‘র্যাগ’ নিয়ে রুয়েট ছাত্রলীগের দুপক্ষের মারামারি
আধিপত্য বিস্তার ও র্যাগ দেয়া নিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারীদের মারধর করেছে সাধারণ সম্পাদক অনুসারীরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত দুই দফায় রুয়েটের হামিদ হলের মূল ফটক তালাবদ্ধ করে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড়ের অনুসারী ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে আটজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনজন মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনেই র্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
রুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড় বলেন, সাধারণ সম্পাদকের নেতাকর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সম্পাদকের উপস্থিতিতে এবং তার মদদেই এ ঘটনা ঘটে।
সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু বলেন, আসলে মারধর করা ও আহতদের অধিকাংশই ১৪ সিরিজের শিক্ষার্থী। তাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে মারামারি করেছে। আমি ও সভাপতি ঘটনা শুনে হলে যাই। প্রাথমিক মীমাংসা করার পরও তারা আবার মারামারি করে।
নগরীর মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
দলীয়করণের অপচেষ্টাই ঢাবি পরিস্থিতি : যুক্তফ্রন্ট
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে সরকার কর্তৃক দলীয়করণের অপচেষ্টার কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে চার দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট যুক্তফ্রণ্ট। গতকাল বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) এম এ মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাবিতে সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বর্তমানে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক সমাজ এমনকি উপাচার্যেরও নিরাপত্তা নেই। সাধারণ ছাত্র সমাজ সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তকরণ বাতিল ও সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন কর্তৃক সাধারণ ছাত্রীদের সম্ভ্রমহানীর বিচারসহ চার দফা দাবীতে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ করে।
ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ অবস্থা চলতে থাকলে ঢাবিসহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের মান ও মর্যাদা সম্পূর্ণ ভুলণ্ঠিত হয়ে যাবে।
এএসএস/এমএআর/বিএ