গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পাখি ইমুর পরিবারে জন্ম নিয়েছে নতুন ছানা। ইমুর ডিম ফুটে ছানার জন্ম হওয়ার ঘটনা এটাই বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রথম।
Advertisement
সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, ২০১৩ সালে পার্ক প্রতিষ্ঠালগ্নে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনটি ইমু পাখি আনা হয়। যার মধ্যে দুটি মাদি ও একটি পুরুষ ইমু ছিল। মাদি ইমুটি পাঁচটি ডিম দেয়ার পর পুরুষ ইমুটি ডিমে তা দেয়। তা থেকে বুধবার সকালে একটি বাচ্চা ফুটেছে এবং একটি ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি তিনটি ডিম ফুটে আরও বাচ্ছা ফোটার হওয়ার আশা করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, ইমু পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। এরা মূলত অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পাখি। বন্য পরিবেশে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে এদের সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সমতল তৃণভূমি বা খোলামেলা বন জঙ্গলে এরা বাস করে, এরা যাযাবর শ্রেণির অর্ন্তভুক্ত। ইমু উড়তে পারে না, তবে ঘণ্টায় ৪০ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে। এরা দক্ষ সাতারুও বটে।
আনিসুর রহমান জানান, ইমু খুব শান্তশিষ্ট এবং উৎসুক পাখি। উট পাখির মত পা দিয়ে এরা আত্মরক্ষা করে থাকে কিন্তু এদের পায়ে থাকে ধারালো নখওয়ালা তিনটে আঙ্গুল। এদের শরীর বাদামি রঙের পালকে ঢাকা। ২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে এবং সর্বোচ্চ ওজন হয় ৬০ কেজি। ডিম দেয়ার সময় এরা বাসা বাঁধে। মা ইমু ডিম দেয়ার পর পুরুষ ইমু তাতে তা দেয়। এই সময় তারা ডিম ছেড়ে অন্য কোথাও যায় না। এমনকি খাওয়া-দাওয়া করে না। এরা সর্বভুক প্রাণী বিধায় এদের প্রধান খাবার গাছপালা, ফলমূল, পোকা মাকড়।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন জানান, সাফারি পার্কের ইমু পাখি ডিম ফুটে বাচ্চা দেয়ায় আশার সঞ্চার হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বাকি ডিমগুলো থেকেও বাচ্চা ফুটবে।
আমনিুল ইসলাম/আরএআর/এমএস