জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, রংপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন প্রথম পরীক্ষায় পাস করেছে। কিন্তু সুন্দরগঞ্জ আসনের উপ-নির্বাচন হচ্ছে এ নির্বাচন কমিশনের জন্য ফাইনাল পরীক্ষা। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে আগামী সব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। তাই এ নির্বাচন শুধু আমাদের নির্বাচন নয়, নির্বাচন কমিশনের জন্যও এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা আবদুল হক ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ আরও বলেন, দেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায়, পরিবর্তনের লক্ষেই রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জয়যাত্রা শুরু হয়েছে জাতীয় পার্টির। জয়যাত্রার ধারা অব্যহত রাখতে সুন্দরগঞ্জ আসনেও এবার জয় হবে জাতীয় পার্টির। আর এ জয় দিয়েই জাতীয় পার্টির ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, রংপুরের মানুষের দুঃখ কেউ বোঝে না। এখানকার উন্নয়নের খবর কেউ রাখে না। কিন্তু জাতীয় পার্টি মানুষের দুঃখ বোঝে। জাতীয় পার্টিই রংপুরের উন্নয়ন করেছে। সুখে-শান্তিতে বাঁচতে আর উন্নয়নের লক্ষে লাঙলে ভোট দিতে হবে।
Advertisement
এরশাদ বলেন, গাইবান্ধার সবগুলো আসনই জাতীয় পার্টির দখলে ছিল। কিন্তু বর্তমানে একটি আসনও দখলে নেই। তাই গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে একজন ভালো মানুষ, একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীককে জয়যুক্ত করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আইন ও বিচারবিষয়ক উপদেষ্টা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম চৌধুরী কাদের, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার এবং গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুর রশিদ সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হলে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি শূন্য হয়। পরে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপ-নির্বাচনে আওয়াম লীগের মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ। তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এক মাস ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। ফলে আসনটি আবারও শূন্য হয়। এ আসনে আগামী ১৩ মার্চ এ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রওশন আলম পাপুল/আরএআর/পিআর
Advertisement