দেশজুড়ে

স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ছিটবাসীদের ঈদ উদযাপন

বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনায় ঈদ উদযাপন করছেন সদ্য বাংলাদেশি হওয়া ছিটমহলবাসীরা। কুড়িগ্রামের দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে ছোট-বড় সবার মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ উল্লাস। অবরুদ্ধ জীবনের মুক্তির পর এই প্রথম ঈদ উদযাপন করলো কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি, ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ারছড়াসহ বাংলাদেশের ১১১ ছিটমহলবাসী। ছিটমহল বিনিময়ের আনন্দের সাথে ঈদ আনন্দ স্বপ্নে ভাসাচ্ছে ছিটবাসীদের। উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সকালে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সিরা নতুন জামা কাপড় পড়ে আসে ঈদগাহ মাঠে। দাসিয়ার ছড়ায় ৯টি ঈদগাহ মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ছিটমহলে ঈদ-উল-ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠি হয় সকাল ৯টায় মধ্যপাড়ার মোস্তফার বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে। ভূরুঙ্গামারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১০টি জামাত।এদিকে, ঈদকে ঘিরে গৃহবধূদেরও এবার বেড়ে গেছে ব্যস্ততা। নানা আয়োজনের প্রয়োজনীয় উপকরণ সামাল দিতে হচ্ছে তাদের। সকাল থেকে ছেলে মেয়েদের সাজগোজ করে দিয়ে শুরু হয়েছে সেমাই, রান্নার কাজ। বাংলাদেশি হয়ে তাদের আনন্দের সীমা নেই। আগে ঈদের দিনেও বাংলাদেশে যেতে পারতো না ছিটমহলবাসীরা। এবারে আর বাধা নেই। নামায শেষে চলছে ঘোরাঘুরি। বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, ৬৮ বছর পর এবারই প্রথম বাংলাদেশি  হিসেবে আনন্দের সাথে ঈদ করলো ছিটমহলবাসীরা। তারা আনন্দে আত্মহারা। তাদের জীবনের স্বাদ গ্রহণের এই শুরু। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় শতাধিক দরিদ্র ছিটবাসীদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।কুড়িগ্রামের ১২টি ছিটমহলে গত ৬ জুলাই জনগণনা শুরু হয়ে শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। ১১ দিনব্যাপি জনগণনায় ১হাজার ৬শ ৪২ পরিবারে জনসংখ্যা পাওয়া যায় ৮ হাজার ৩শ ১২ জন। এর মধ্যে ভারতীয় নাগরিক হতে নিবন্ধন করে ৩শ ৪২ জন। নাজমুল হোসেন/এসএস/এমএস

Advertisement