টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা শেষ হলো গত ২১ জানুয়ারি। বিশ্ব ইজতেমার পর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ইজতেমায় তাবলিগের শীর্ষ ৭ মুরব্বীকে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে কাকরাইল মারকাজে আবেদন জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উলামা পরিষদ।
Advertisement
উলামায়ে দেওবন্দের মতে সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে যে কয়জন দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশের নিয়ে আসার ব্যাপারে কাজ করেছেন তাদেরকে চট্টগ্রামের ইজতেমায় যোগদান না করার আবেদন জানানো হয়েছে।
তবে চট্টগ্রামের এ আঞ্চলিক ইজতেমায় তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বী ও সুরা সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।হাটহাজারী উলামা পরিষদ তাবলিগের যে ৭ জন মুরব্বী ও শুরা সদস্যদেরকে অংশ না নেয়ার অনুরোধ করেছেন তাঁরা হলেন-
জনাব ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসিফুল ইসলাম, জনাব শাহাবুদ্দীন নাসিম, ইঞ্জিনিয়ার ইউনুস শিকদার, মাওলানা শেখ আবদুল্লাহ, মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ, মাওলানা আশরাফ আলী, এবং মাওলানা আনাছ বিন মুজ্জাম্মেল হক।
Advertisement
উল্লেখিত ৭ জনকে চট্টগ্রামের ইজতেমায় অংশগ্রহণ না করতে যে চিঠি কাকরাইল মারকাজে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে; সে চিঠিতে চট্টগ্রাম উলামায়ে কেরামের পক্ষে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন-মাওলানা নোমান ফয়জী (সভাপতি, হাটহাজারী উলামা পরিষদ ও পরিচালক, মেখল মাদরাসা); মাওলানা আহমদ দিদার (সিনিয়র সহ সভাপতি হাটহাজারী উলামা পরিষদ ও মুহাদ্দিস, হাটহাজারী মাদরাসা) এবং মাওলানা জাফর আহমদ (সাধারণ সম্পাদক, হাটহাজারী উলামা পরিষদ ও সহকারী পরিচালক, বাথুরা মাদরাসা)
উল্লেখ্য যে-গত ২২ জানুয়ারি কাকরাইলের আহলে শুরা বরাবর হাটহাজারী উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয় তাবলিগের সঙ্গে উলামায়ে দেওবন্দের কোনো ব্যক্তিগত দুশমনি নেই। কেবল দ্বীন ও দাওয়াতের কাজের হেফাজতের স্বার্থে তারা একটি সম্মিলিত অবস্থান নিয়েছেন।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘দুর্ভাগ্যবশত উলামায়ে দেওবন্দের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে কিছু মানুষ মাওলানা সাদ সাহেবকে বাংলাদেশে এনেছেন। সংঘঠিত পরিস্থিতির জন্য তারাই দায়ী। তারা সাধারণ তাবলিগি সাথীদের উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চাচ্ছে। এমনকি উলামাদের শানে বিভিন্ন বেয়াদবিমূলক কথা বলছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘তাবলিগ সংক্রান্ত বিষয়ে মুহতারাম মাওলানা সাইয়িদ আরশাদ মাদানি ও (দেওবন্দের মুহতামিম) মাওলানা আবুল কাসেম নোমানীকে হুমকি দিয়ে অডিও বার্তা ছাড়া হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রামের উলামায়ে কেরাম ও মুসলমান জনগোষ্ঠী চান না, বিতর্কিত ব্যক্তিগণ চট্টগ্রামের ইজতেমায় শরিক হোক।
Advertisement
এমএমএস/আইআই