দেশজুড়ে

শোলাকিয়ায় জনসমুদ্র

দেশের সব চেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। সকাল ১০টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। দেশ-বিদেশের প্রায় তিন লাখ মুসল্লি এ মাঠে ঈদের নামাজ পড়েন। জামাতকে শান্তিপূর্ণ করতে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা। ছিল চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদের জামাত শুরু হয় সকাল ১০টায়। জামাত শুরুর ১০ মিনিট, ৫ মিনিট ও সর্বশেষ এক মিনিট আগে আকাশে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ঘোষণা করা হয় জামাতের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর আগে সকাল ৯টা নাগাদ শোলাকিয়ার বিস্তীর্ণ প্রান্তর ভরে যায় কানায় কানায়। তখনও শোলাকিয়ায় পথে অনেকেই। শোলাকিয়ায় এবার ছিল ঈদ-উল-ফিতরের ১৮৮ তম জামাত। জামাতে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ছুটে আসেন কিশোরগঞ্জে। দূরের মুসল্লিদের জন্য ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে আসে দু’টি বিশেষ ট্রেন। প্রায় আড়াই’শ বছর আগে শোলাকিয়া মাঠ প্রতিষ্ঠা করেন হয়রতনগর জমিদার বাড়ির লোকজন। জনশ্রুতি আছে, কোনো এক ঈদের জামাতে শোলাকিয়ায় এক লাখ ২৫ হাজার বা  ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের হয় ‘সোয়া লাখিয়া’ যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।শোলাকিয়ার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে যত দূর চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। তারা এসেছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে। আর তাদের উদ্দেশ্য একটাই যেন কোনো অবস্থাতেই হাতছাড়া হয়ে না যায় ঈদের জামাতে অংশ নিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের অপূর্ব সুযোগ। এ মাঠে নামাজ পড়েন জেলা প্রশাসক অ্যাড. মো. জিল্লুর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মাহবুব উল আলম, জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফর উল্লাহ ,পুলিশ সুপার  মো. অনোয়ার হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম এ আফজালসহ জেলার গণমান্য ব্যক্তি। ঈদকে ঘিরে কিশোরগঞ্জ শহরকে সাজানো হয় সুদৃশ্য তোরণ, ব্যানার আর ফেস্টুন দিয়ে। জামাত নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠের বিভিন্ন প্রবেশ পথে ছিল ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। ছিল র্যাব-পুলিশের কড়া নজরদারি। নূর মোহাম্মদ/এসএস/এমএস

Advertisement