জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আজকের (মঙ্গলবার) ম্যাচটি ছিল খুবই লো স্কোরিং। টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের টপ অর্ডার যখন ভালো সূচনা এনে দিয়েছিল, তখন মনে হচ্ছিল রান আবারও ৩০০ কিংবা এর কাছাকাছি হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো সাকিব-তামিম সফল হলেও বাকিরা যোগ দিলেন ব্যর্থতার মিছিলে।
Advertisement
মুশফিক, রিয়াদ, সাব্বির, নাসিরের মত ব্যাসম্যান থাকার পরও দেখা গেল রান ১৭০-৮০’ও হয়তো হবে না। শেষ পর্যন্ত লেট অর্ডারে রুবেল-মোস্তাফিজ আর সানজামুলের দৃঢ়তায় রান গিয়ে ঠেকলো ২১৬তে।
ম্যাচ সেরা তামিম ইকবাল ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন ২১৬ রান করার পর তাদের মনে হয়েছে একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর হয়েছে। এ নিয়ে লড়াই করা যায়। কারণ, উইকেট ভালো ছিল না। তার ওপর বোলাররা রয়েছে দারুণ ফর্মে। সুতরাং, তামিম ইকবালরা আশাবাদী ছিলেন, এই রান নিয়েও লড়াই করা সম্ভব হবে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিমের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলো, ২১৬ রানের মতো রান করে শঙ্কা ছিলো কি না? জবাবে তামিম জানালেন, ২০০’র উপরে রান হলেই সেটা তাড়া করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমরা একটা জিনিস বুঝতে পারছিলাম যে, ২০০ রানের উপরে যা-ই হোক না কেনো- সেটা চেজ করা কঠিন হবে। উইকেট এতো সহজ ছিল না। স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাট করাটাই বিশেষ করে কঠিন ছিলো। একই সঙ্গে ফাস্ট বোলারদের জন্য বলে সিম মুভমেন্ট ছিলো। তো বুঝতে পারছিলাম ২০০ এর উপরে করলে একটা চান্স থাকবে। আর আর্লি উইকেট নিতে পারাটা হবে চাবিকাঠি।’
Advertisement
এরপর তো বোলাররা শুরুতেই খড়গহস্ত হলেন জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের ওপর। তামিম ইকবাল বললেন, ‘তো, প্রথমেই আমরা তিন-চারটি উইকেট নিতে পেরেছি। এটা আসলে কাজে দিয়েছে।’
আইএইচএস/এমএস