পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরুর আগে অনেকেই লিখে দিয়েছিলেন আবারও ম্যাচ সেরা হতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ৫১ রান করার পাশাপাশি বল হাতেও তিনি ছিলেন দুর্বার। নিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ৩ উইকেট। সুতরাং, এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার তো সাকিবের হাতেই ওঠা উচিৎ।
Advertisement
এ চিন্তা থেকে পরিসংখ্যানও ঘাঁটাঘাঁটি শুরু হয়ে গিয়েছিল। টানা তিনবার ম্যাচ সেরা আর কে হয়েছিলেন। বাংলাদেশের কে হয়েছিলেন কিংবা ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটে কে হয়েছিলেন। পরিসংখ্যান ঘাঁটতে ঘাঁটতেই পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ম্যাচ সেরা হিসেবে ঘোষণা করে দিলেন তামিম ইকবালের নাম।
বন্ধু সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে বিচারকদের কাছে সেরা হয়ে উঠলো তামিম ইকবালের খেলা ৭৬ রানের ইনিংসটিই। সাকিব তো হাফ সেঞ্চুরি করার পর আউট হয়ে যান; কিন্তু তামিম চেষ্টা করেন হাল ধরে রেখে দলকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে। সাকিবের সঙ্গে ১০৬ এবং মুশফিকের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন তামিম।
আগের দুই ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন তামিম। প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও করেন ৮৪ রান। দুই ম্যাচেই ব্যাটে-বলে সেরা পারফরমার হওয়ার কারণে সাকিবই ছিনিয়ে নন সেরার পুরস্কার। তৃতীয় ম্যাচে এসে সাকিবকে হ্যাটট্রিক ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিততে দিলেন না তামিম ইকবাল।
Advertisement
আইএইচএস/আইআই