সিকান্দার রাজা আর পিটার মুরের জুটিটা প্রায় থিতু হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে আঘাত হানলেন সানজামুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন মুর। ওই ওভারেই পরের বলে একই পরিণতি ম্যালকম ওয়ালারের। সানজামুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি ফিরেছেন শুন্য রানে।
Advertisement
শুরুটা করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মাঝে সাকিব আল হাসানের জোড়া আঘাত। এরপর আবারও দৃশ্যপটে মাশরাফি। পেস আর স্পিনের এই যুগলবন্দীতে মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত বিপদে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। বোর্ডে পুঁজি খুব কম, মাত্র ২১৬ রানের। ছোট পুঁজি নিয়ে বল হাতে শুরুটা দুর্দান্ত চাই বাংলাদেশের। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাই সেই শুরুটা দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে ১৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তিনি।
মাশরাফির সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন মাসাকাদজা। সাব্বির রহমান ভুল করেননি, দারুণভাবে ক্যাচটা তালুবন্দী করে নেন তিনি। ১৫ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছেন মাসাকাদজা।
এরপর সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি জাদুর সামনে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ দুই বলে সলোমন মিরে আর ব্রেন্ডন টেলরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ৭ রান করে মিরে হয়েছেন বোল্ড। রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউ ব্রেন্ডন টেলর।
Advertisement
বিপদে পড়া জিম্বাবুয়েকে এরপর আরও চাপে ফেলেছেন মাশরাফি। ম্যাচে তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন ১১ রান করা ক্রেইগ আরভিন। এবারও স্লিপে ক্যাচ, ফিল্ডার সেই সাব্বির রহমান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান। সিকান্দার রাজা ২৫ আর গ্রায়েম ক্রেমার শূন্য রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে, তামিম ইকবাল (৭৬) আর সাকিব আল হাসানের (৫১) জোড়া হাফসেঞ্চুরির পরও ২১৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। পরের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা যাওয়ার মিছিলে।
এমএমআর/এমএস
Advertisement