দেশজুড়ে

ধর্মঘটে অচল বরিশাল বিভাগের ২৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল বিভাগের ২৩শ বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

Advertisement

এদিকে দাবি আদায়ের লক্ষে কর্মসূচির বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিভাগীয় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি ।

মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল জানান, শিক্ষা জাতীয়করণ, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বার্ষিক ৫ ভাগ প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বৈশাখী ভাতা, বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতাসহ ১১দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করছে। দাবি আদায়ে তারা এর আগে মানববন্ধন, মিছিল, সমাবেশ এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরও স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবি অগ্রাহ্য করায় বাধ্য হয়ে অবিরাম ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা।

সরকার তাদের ১১দফা দাবি মেনে নিলেই শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম জানান, কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়, বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় ও ২৭ জানুয়ারি সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে সভা করবেন।

এদিকে সকালে নগরীর গির্জা মহল্লার এক স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে ধর্মঘটের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে এসে শিক্ষকদের না পেয়ে ফিরে যেতে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বছরের শুরুতে ক্লাস না হওয়ায় বছরের শেষে গিয়ে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে ।

এছাড়া পহেলা ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। পাবলিক পরীক্ষার আগ মুহূর্তে ক্লাস বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। তারা এই অচলাবস্থা নিরসন করে ক্লাসে ফিরতে উন্মুখ। শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরাতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।

Advertisement

শিক্ষক কর্মচারী বিভাগীয় সংগ্রাম কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আ.ক.ম মিজানুর রহমান বলেন, ৭২ সালের সংবিধানে উল্লেখিত রয়েছে সকল শিক্ষা জাতীয়করণের। এই বিষয়টি কোনো সরকার অদ্যবধি বাস্তবায়ন করেনি। এজন্য তারা বাধ্য হয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ধর্মঘটে যেতে। তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকার কথা বলেন তিনি।

সাইফ আমীন/এমএএস/এএম/আইআই