তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল; কিন্তু সাকিব আল হাসান হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হওয়ার পরই ছন্দপতন ঘটলো বাংলাদেশের। তামিমের সঙ্গে ৩৫ রানের একটা মাঝারি মানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। কিন্তু ফাইনালে উঠে যাওয়ার কারণে কিছুটা রিল্যাক্সনেস কী ভর করলো সত্যি সত্যি বাংলাদেশ দলের ওপর! না হয় এভাবে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসবেন কেন তারা?
Advertisement
দলীয় ১১২ রানের মাথায় আউট হন সাকিব আল হাসান। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে তামিমকে সঙ্গে নিয়ে সাকিব গড়েছিলেন শতরানের জুটিও। নিজেও তুলে নিয়েছিলেন হাফসেঞ্চুরি। তবে এরপর আর উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না সাকিব। সিকান্দার রাজার বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরে যান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় ক্রায়েম ক্রেমারের বলে ফুল অব স্ট্যাম্পে ছিল বল। কিন্তু সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন শর্ট ফাইন লেগে। মুজারাবানি ক্যাচ ধরলেন। ১৮ রান করে ফিরে যান মুশফিক।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাঠে নেমে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মাত্র ২ রান করে ফিরে গেলেন তিনি। ক্রেমারের গুগলি ফাঁদের শিকার হয়ে ফিরতে বাধ্য হলেন। দলীয় রান এ সময় ১৫৬।
Advertisement
ওয়ানডেতে ৬০০০ রান পূরণ করার পর দুর্দান্ত গতিতে সেঞ্চুরির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ক্রেমারের বলে ক্রিজ ছেড়ে এসে খেলতে যান তামিম; কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারলেন না। ফলে ৭৬ রানেই এবারের যাত্রা থামিয়ে দিতে বাধ্য হলেন তামিম। টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার পরও সেটাকে তিন অংকের ঘরে নিতে পারলেন না তিনি।
তামিমের পর উইকেটে নামেন নাসির হোসেন। জুটি বাধেন সাব্বির রহমানের সঙ্গে। দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় সাব্বির উইকেট থ্রো করে আসেন বলতে গেলে। মাত্র ৬ রান করে জার্ভিসের বলে আরভিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪১ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান। নাসির ২ এবং মাশরাফি ব্যাট করলেন ০ রান নিয়ে।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশ এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান এনামুল বিজয়। কাইল জার্ভিসের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগলে আম্পায়ার এলবিডাব্লিউ দেন।
Advertisement
বিজয়ের বিদায়ের পর উইকেটে এসে দেখে শুনে খেলতে থাকে সাকিব। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১০৬ রানের জুটি। সিকান্দার রাজার বলে চার মেরে টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ক্যারিয়ারের ৩৭তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব। তবে এরপরই মাথা গরম করে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বল মিস করলে সহজেই স্ট্যাম্পিং করেন টেলর। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।
এদিকে তার বিদায়ের পর ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তৃতীয় ফিফটি পেয়েছেন তামিম ইকবাল। বাঁহাতি এই ওপেনারের লেগেছে ৭৮ বল।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সানজামুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিলটন মাসাকাদজা, সলোমন মিরে, পিটার মুর (উইকেটরক্ষক), ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেলর, সিকান্দার রাজা, ম্যালকম ওয়ালার, টেন্ডাই চাতারা, কাইল জার্ভিস, গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), ব্লেসিং মুজারাবানি।
আইএইচএস/এমআর/পিআর