এক ম্যাচ পর কাম ব্যাক সানজামুলের, আউট সাইফউদ্দীন।
Advertisement
আগামীকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলায় জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ফিরতি সাক্ষাতে দলে ফিরছেন বাঁ হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। আর তার কারণে জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চার নম্বর পেসার হিসেবে খেলা মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনকে। শেরে বাংলার বাতাসে ভাসা গুঞ্জন নয়। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রই নিশ্চিত করেছে এ খবর।
আগামীকাল জিম্বাবুয়ের সাথে ফিরতি সাক্ষাতে বাংলাদেশ দলে ওই একটিই পরিবর্তন ঘটছে। ক্রেমার বাহিনীর সাথে প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ও শেষ মোকাবিলায়ও একাদশে থাকছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল।
জিম্বাবুয়ে বাঁহাতি স্পিনে দুর্বল। বিশেষ করে বাংলাদেশের মাটিতে এসে টাইগার লেফট আর্ম অর্থোডক্স স্পিনারদের বিপক্ষে সব সময়ই খাবি খেয়েছে জিম্বাবুয়ানরা। এই ইতিহাস ও পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরেই ১৫ জানুয়ারি ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল আবহওয়ার মধ্যে বাড়তি পেসারের বদলে সাকিবের সাথে আরেক বাঁহাতি স্পিনার সানজামুলকে খেলানো হয়েছিল।
Advertisement
ওই ম্যাচের আগের দিন এবং খেলার দিন আকাশে সূর্য্যর দেখা মিলেছে কম। ঘনর কুয়াশায় ঢাকা ছিল চারিদিক। একে তো ঠান্ডা। তার সাথে ঘন কুয়াশা। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় ‘সিমিং কন্ডিশন।’ সেখানে বাড়তি সিম বোলার খেলানোই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তা না খেলিয়ে দু'জন জেনুইন স্পিনার খেলানো রীতিমত অবাক করেছিল অনেককেই।
বিস্ময়ের সেখানেই শেষ ছিল না। সাকিবের সাথে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পাওয়া সানজামুল উদ্বোধনী বোলার জুটিতেও দায়িত্ব পালন করেন। দুই প্রান্তে স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ। আর দুজনই বাঁহাতি।
কালও দুই বাঁহাতি সাকিব ও সানজামুল বোলিং শুরু করবেন কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তবে আগের ম্যাচের মত যদি জিম্বাবুয়ান ব্যাটিং অর্ডার ডান হাতি ব্যাটসম্যানে ভরা থাকে, তাহলে আবারো দু'প্রান্তে দুই বাঁহাতি স্পিনার দিয়ে বোলিং সূচনা করতে পারে বাংলাদেশ।
এদিকে জাগো নিউজের পাঠকরা আগের রাতে (শনিবার রাতে) জেনে গিয়েছিলেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মঙ্গলবারের লড়াইয়ে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে না বাংলাদেশ।
Advertisement
যদিও কেউ কেউ ভেবেছিলেন, যেহেতু ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে, তাই একাদশে বড় রদবদল হতে পারে। নির্ভরযোগ্য ও একাদশের নিয়মিত জন দু'য়েক ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মোহাম্মদ মিঠুন আর আবুল হাসান রাজুকে খেলানোরও গুঞ্জন ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না।
ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ভাবনা ভিন্ন। টাইগাররা জয়রথ সচল রাখতে বদ্ধ পরিকর। যদিও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন আগের দিনই জানিয়েছেন, আমরা যে দল নিয়ে প্রথম দুই খেলায় অতি সহজে জিতেছি, সেই দল নিয়ে খেলতে নেমেও হারতে পারি। কোনো লাইন-আপেই জয়ের নিশ্চয়তা নেই। আবার দলে পরিবর্তন আনা হলেই যে জিতবো বা হারবো; এমন কথাও বলার উপায় নেই। তবে লাইন আপে পরিবর্তন আনা হলে মানে একাদশের দু'জন অপরিহার্য সদস্যকে বিশ্রাম দিলে তার প্রভাবে পারফরমেন্স ক্ষতিগ্রস্ত হতেও পারে। সে চিন্তায় দলে রদবদলের চিন্তা বাদ দিয়েছি। আমরা জয়ের পথে থাকতে চাই। একটি হার হঠাৎ ছন্দপতন ডেকে আনতে পারে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, জিম্বাবুয়ে বরাবরই বাঁহাতি স্পিনে দুর্বল। সাকিব আল হাসানের ক্যারিয়ারে ২৩২ উইকেটের ( ১৮২ ম্যাচে) ৭১ টিই (৪৪ ম্যাচে) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আগের খেলায় সাকিব ৪৩ রানে ৩ উইকেট দখল করায় আবার সে সত্যই হয়েছে প্রতিষ্ঠিত।
এখন দেখার বিষয় হলো, কাল দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আর সানজামুল কি করেন। আবারো সাকিব-সানজামুলের স্পিন জুটি কিভাবে সামলান জিম্বাবুয়োর ব্যাটসম্যানরা।
এদিকে সানজামুল দলে আসলেও বাকি ১০ পজিশন ঠিক থাকছে। ওপেনিংয়ে যথারীতি তামিম ইকবাল আর এনামুল হক বিজয়। তিন নম্বরে সাকিব আল হাসান। চারে মুশফিকুর রহিম। পাঁচ নম্বরে মাহমুদউল্লাহ। ছয় ও সাত নাম্বারে যথাক্রমে সাব্বির রহমান ও নাসির হোসেন।
এরপর আট নম্বরে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। নয় নম্বর সানজামুল ইসলাম। দশে রুবেল হোসেন। আর এগার নম্বরে যথারীতি মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশের একাদশ (ব্যাটিং অর্ডার অনুসারে) : তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সানজামুল ইসলাম, রুবেল হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান।
এআরবি/এমএমআর/আরআইপি