ইসরায়েল সফরে গিয়ে জেরুজালেমকে দেশটির রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করে কথা বলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। একই সঙ্গে আগামী বছরের শেষের দিকে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মুসলিমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতি থেকে বেরিয়ে এসে গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার এ স্বীকৃতির পর পুরো মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। আরব বিশ্বসহ ফিলিস্তিনিরাও ট্রাম্পের এ ঘোষণার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করছেন। ইসরায়েল পৌঁছে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাইক পেন্স।
মধ্যপ্রাচ্যে সরকারি সফরে থাকা মাইক পেন্স শনিবার মিসরে এবং পরের দিন জর্ডানে গিয়ে বলেন, যদি দুই পক্ষই রাজি হয়, তাহলে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানে সমর্থন জানাবে ওয়াশিংটন।
Advertisement
সোমবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার শুরুতেই তিনি বলেন, ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে উপস্থিত হতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। পেন্সের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, প্রথমবারের মতো আমি এখানে দাঁড়িয়েছি; যেখানে দুই নেতাই তিনটি শব্দ বলতে পারছে : ‘জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী।’
পেন্স বলেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্ররাও সমালোচনা করেছে; যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
‘দশকের পর দশক ধরে চলমান সংঘাতে আক্রান্ত এ অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ সমাধান অর্জনে আলোচনার নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি।’
মার্কিন এ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসরায়েল সফর শুরুর আগেই দেশের বাইরে রয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি ট্রাম্পের ওই ঘোষণাকে ‘মুসলিম বিশ্বের গালে মার্কিন চড়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
Advertisement
পেন্সের মন্তব্যের পর আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রাইনাহ বলেন, ‘ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে মার্কিন স্বীকৃতি ও দখলদারিত্ব অবৈধ। পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করতে মার্কিন প্রশাসনের উসকানি বন্ধ করতে হবে।’
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/আরআইপি