বছর শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় বিদায়ী বছরের হিসাব-নিকাশ করা পালা। অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি কিংবা খেলাধুলা- প্রতিটি ক্ষেত্রেই চলে ফিরে দেখার পালা। সারা বছর কে কী করেছে, কেমন কেটেছে বছরটি কিংবা আগামী বছরটা কেমন যাবে তার পরিকল্পনাও করা শুরু হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রের মতই ক্রীড়া ক্ষেত্রে আগের বছরের হিসাব-নিকাশ চলে হরদম। কেউ কেউ তো বছরের সেরাও খুঁজে বের করতে শুরু করে দেয়।
Advertisement
ক্রিকেটও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো থেকে শুরু করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের নামকরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বছরের সেরা একাদশ গঠনের চেষ্টা চালিয়েছে। প্রায় প্রতিটি সেরা একাদশেই নাম উঠেছে এক বাংলাদেশি ক্রিকেটার, সাকিব আল হাসানের। কোথাও কোথাও মুশফিকুর রহীমও ছিলেন সেরা একাদশের তালিকায়। ২০১৭ সালে যে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন তারা!
কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি একাদশের কোনোটিতেই দেখা মিলল না বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকে। সাকিব আল হাসানের নাম অনেকেই ভেবেছিল, নিশ্চিতভাবেই আসবে; কিন্তু আইসিসির বর্ষসেরার কোথাও নেই কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম।
বিষয়টা যারপরনাই হতাশ করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফিরতি লেগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগেরদিন (সোমবার) মিরপুরে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবালের কাছেও তোলা হলো বিষয়টা। জানতে চাওয়া হলো, আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারে বাংলাদেশের কারও নাম না থাকার বিষয়টা তারা কিভাবে নিচ্ছেন?
Advertisement
জবাবে তামিম জানান, আগে তো কোথাও বাংলাদেশের কাউকে দেখা যেতো না। এখন তো নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে। বেশিদিন সময় হয়তো লাগবে না, বাংলাদেশের কাউকে নিয়মিতই দেখা যাবে। তামিম বলেন, ‘আইসিসির কথা বাদ দেই। অনেকেই বেস্ট ইলেভেন তৈরি করেছে। ক্রিকইনফো করেছে, নিউজপেপারগুলো করে। ওসব জায়গায় কিন্তু আগে বাংলাদেশি কোনো খেলোয়াড়ের নাম দেখা যেত না। যেভাবে শেষ বছরটা আমাদের কাটল, এভাবে কাটলে একটা সময় না একটা সময় গিয়ে আমরা অ্যাওয়ার্ড পাব।’
তবে তামিম মনে করেন, আইসিসির পুরস্কার পেতে হলে আরও অনেক বেশি ভালো খেলতে হবে, পারফরম্যান্স করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আইসিসি অ্যাওয়ার্ড পেতে হলে খুব খুব ভাল কিছু করতে হবে। যদি দেখেন যে, যারা ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তারা অনেক রান করেছে। সেরা টেস্ট দলে ছিল, সেরা ওয়ানডে দলে যাদের নাম এসেছে, তারা সেখানে থাকার প্রত্যাশা করতেই পারে। আমি বলছি না সাকিব-মুশফিক দাবিদার না। ওরাও দাবিদার। তবে বেশিদিন নেই আর, সেরা টেস্ট দলে দুইজন বাংলাদেশি বা তিনজন বাংলাদেশি... (র’ নাম থাকবেই)। আগামী বছরগুলো ভাল গেলে স্বীকৃতি চলে আসবে।’
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement