হাইওয়ে কিংবা জনবহুল ব্যবহৃত রাস্তার পাশে নির্দিষ্ট দূরত্বে মসজিদ বা উপাসনালয় নির্মাণ প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের সরকার দেশটির স্থানীয় নাগরিক ও পর্যটকদের কথা চিন্তা করে রাস্তার পাশে মসজিদ নির্মাণের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
Advertisement
৩ কোটি মুসলিম নাগরিক সমৃদ্ধ দেশ উজবেকিস্তান। ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত উজবেক সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটির সরকার সে দেশের ৩ কোটি মুসলিম নাগরিক ও পর্যটকদের জন্য রাস্তার পাশে ছোট ছোট মসজিদ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাস্তার পাশের এ মসজিদগুলোতে স্থানীয় মুসলমান ছাড়াও সে দেশে ভ্রমণরত পর্যটকদের জন্যেও উপকারে আসবে।
উজবেকিস্তানের সরকারী কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, ‘অতি শীঘ্রই উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দের বিভিন্ন রাস্তার পাশে ২২টি ছোট ছোট মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
Advertisement
উজবেকিস্তানের পর্যটন বোর্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী অধিক মুসলিম পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য দেশটির আবাসিক হোটেলের রুমগুলোয় পবিত্র কুরআনের পাণ্ডুলিপি, জায়নামাজ, এবং কেবলানামা (কম্পাস) রাখা হয়েছে।
উজবেকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইসলাম কারিমভের সময়ে অর্থাৎ ২০১৬ সালের আগে মুসলমানদের কার্যক্রম তাজিকিস্তানের জনগণ আঞ্জাম দিতো। তার পরিমাণও ছিল অনেক কম।
ইসলাম কারিমভের পরে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শওকত মীরাজায়য়েভ দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ক্ষমতায় আসার পর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার এবং জনগণের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা কমানোর চেষ্টা করছেন।
দেশের সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে এবং মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রাস্তার পাশে মসজিদ নির্মাণের এ নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নিঃসন্দেহে রাস্তার পাশে স্থানীয় মুসলিম পর্যটকদের জন্য মসজিদ নির্মাণের এ পরিকল্পনা প্রশংসার দাবি রাখে।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম