চার প্রতারক মিলে বোতলে বন্দি ভূতের দাম হাঁকিয়েছিল পাঁচ লাখ টাকা। সেই জ্যান্ত ভূত বিক্রি করতে গিয়েই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে চার প্রতারকের জায়গা হয়েছে কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে।
Advertisement
আর এই ভূত কিনতে পশ্চিমবঙ্গের বাগুইআটি থেকে বর্ধমান পাড়ি দিয়েছিলেন দুই ক্রেতা। পরের ঘটনা পুরো সিনেমার মতো। দুই ক্রেতার বুদ্ধির চালে পুলিশের জালে আটকা পড়েছে চার প্রতারক।
জ্যান্ত ভূত দেখানোর গল্প ফেঁদেছিলেন ওই চার প্রতারক। ভূত কিনতে চেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন বাগুইআটির দুই আগ্রহী ক্রেতা। এদের মধ্যে একজন পেশায় কবিরাজ। কোনো মৃত সঞ্জীবনী ওষুধ জেনে নেয়ার ইচ্ছা ছিল তার। সেই অনুযায়ী ভূত কিনতে বর্ধমান পাড়ি দেন তাপস ও বাসুদেব নামের ওই দুই ক্রেতা। ফোনে জানানো হয়, বোতলবন্দি ভূতের দাম ৫ লাখ টাকা।
বর্ধমানে পৌঁছানোর পর তাদের নটরাজ হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়ার পর একটা ঠান্ডা পানীয়র বোতলে ১০ টাকার একটি কয়েন দেখান সুপ্রকাশ দে ওরফে বাপ্পা। এসময় বলা হয়, বোতলবন্দি ভূতের দাম ৫ লক্ষ টাকা। খাওয়াদাওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা জমা করতেও বলা হয়। প্রতারকদের ফন্দি বুঝতে পেরে এবার টাকা দিতে অস্বীকার করেন তাপস চৌধুরী ও বাসুদেব কুণ্ডু।
Advertisement
এরপরই মুখোশ খুলে যায় প্রতারকদের। ঘরে জোর করে আটকে রাখা হয় দুজনকে। টাকা না দেয়া হলে ছাড়া হবে না বলে হুমকিও দেয়া হয়। বিপদ বুঝে এক বন্ধুর সঙ্গে বন্ধ ঘর থেকেই যোগাযোগ করেন দুই ক্রেতা। তিনিই ফোন করে বর্ধমান থানায় পুরো বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। হাতে নাতে পাকড়াও করা হয় চার ভূত বিক্রেতা সুপ্রকাশ দে, জয়ন্ত ধারা, অরূপ দাস ও বিকাশ গিরিকে। জিনিউজ।
এসআইএস/জেআইএম