তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, তার দেশের স্থল সেনারা উত্তর সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত আফরিন এলাকায় ঢুকে পড়েছে।
Advertisement
তিনি বলেছেন, তুরস্কের সেনাবাহিনী আফরিন এলাকা থেকে কুর্দি জঙ্গীদের তাড়িয়ে দিয়ে একটি ৩০-কিলোমিটারব্যাপী নিরাপদ এলাকা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে। তবে কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজি এ খবর অস্বীকার করেছে। তারা দাবি করছে, তুরস্কের আক্রমণকারীদের হটিয়ে দেয়া হয়েছে।
গতরাতে কুর্দিদের নিক্ষিপ্ত একটি রকেট কিলিস নামে একটি সীমান্ত শহরে গিয়ে পড়ে, এর পর তুরস্কের দিক থেকেও তার জবাব দেয়া হয়। ওয়াইপিজি মিলিশিয়ারা বলছে, শনিবার আফরিনে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোকসহ মোট ৯ জন নিহত হয়েছে।
গত বেশ কিছুদিন থেকেই তুরস্ক আফরিন এলাকার ওপর গোলা বর্ষণ করছিল। এর পর শনিবার থেকে শুরু হয় বিমান হামলা। তুরস্ক বলছে, স্থল অভিযান শুরু করার আগে তারা ১৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।
Advertisement
তুরস্ক সমর্থিত ফ্রি সিরিয়ান আর্মির যোদ্ধারাও আফরিন এলাকায় ঢুকছে, এ খবর দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু। তুরস্ক ওয়াই পিজিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে, এবং তাদের ধারণা তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দি জঙ্গী সংগঠন পিকেকে'র সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশনকে সহায়তা করেছে ওয়াইপিজি। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এক পরিকল্পনা করে যে ইসলামিক স্টেটের ফিরে আসা ঠেকাতে তারা সিরিয়ায় তুরস্ক-সীমান্ত বরাবর নতুন একটি সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করবে - যা হবে প্রধানত কুর্দি-প্রধান।
এর পরই তুরস্ক ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে এবং এই বাহিনীকে 'আঁতুড়ঘরেই নির্মূল করার' ঘোষণা দেয়। তুরস্ক নিজে নেটো সদস্য হলেও - এই জোটের সাথে তাদের এখন সরাসরি সংঘাত দেখা দিয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া, আমেরিকা এবং সিরিয়া সহ সব পক্ষকেআগে জানিয়েই এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। সিরিয়া অবশ্য এ কথা অস্বীকার করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তুরস্ক কতদূর পর্যন্ত এই ব্যয়বহুল অভিযান চালাতে চায় - এটাই দেখার বিষয়। বিবিসি বাংলা।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম