প্রথম দল হিসেবে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রানের বিশাল জয়ে বোনাস পয়েন্টসহ ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেছে মাশরাফি বাহিনীর।
Advertisement
আজ জিম্বাবুয়ে জিতে গেলে আর কথাই ছিল না। ২৭ জানুয়ারি শেরে বাংলায় ফাইনাল খেলতো মাশরাফির দল আর জিম্বাবুইয়ানরা। তখন ২৩ ও ২৫ জানুয়ারির খেলা দুটি গুরুত্ব হারাতো। কিন্তু শ্রীলঙ্কা জিতে যাওয়ায় অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হলো। দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট নির্ধারন করতে এখন অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।
স্বভাবতই ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ে ম্যাচের দিকে সবার চোখ। সে ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে গেলে ২৫ জানুয়ারি ‘বড় দিনে’ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি সত্যিই ‘বিগ ম্যাচ’-এ রূপান্তরিত হবে। আর পরের খেলায় জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে হারালেও ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতেই হবে।
মোদ্দা কথা, বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিত হলেও জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কার সামনে সমান সুযোগ ফাইনাল খেলার। এরকম এক সমীকরণে দাঁড়িয়ে তিন জাতি ক্রিকেট আসর।
Advertisement
এদিকে আগামী পরশু জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশের ফিরতি ম্যাচের আগে ক্রিকেট পাড়া ও সমর্থকদের মাঝে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন-ফাইনাল যেহেতু নিশ্চিত, তাই ২৩ জানুয়ারি পরের ম্যাচে বাংলাদেশ কি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে? একাদশে কি পরিবর্তন আসতে পারে?
আগের দুই খেলায় নিজেকে মেলে ধরেছেন, ব্যাট ও বল হাতে ভাল খেলেছেন; এমন নির্ভরযোগ্য দু' একজন ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়ে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে কাউকে কি ট্রাই করানো হবে? অপেক্ষার প্রহর গোনা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনকে কি একটি সুযোগ দিয়ে দেখা হবে? কিংবা সাথে আবুল হাসান রাজু অথবা মেহেদি হাসান মিরাজের কারও কি মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা আছে?
এক পক্ষের জোর দাবি, আছে। কেউ কেউ এমনও বলছেন, টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি সত্যি সত্যিই জন দুয়েক ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেয়ার কথা ভাবছে। আসলেই কি তাই? আগামী পরশু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কি সত্যিই একাদশে পরিবর্তন আসছে?
এমন প্রশ্নের জবাব যার সবচেয়ে ভালো দেবার কথা, সেই খালেদ মাহমুদ সুজন কি ভাবছেন? গায়ে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের বাহ্যিক পদবি থাকলেও আসলে এ মুহূর্তে তিনি বাংলাদেশ দলের দৌনাচার্য্য। জাগোনিউজকে তিনি জানালেন, অন্য রকম কথা।
Advertisement
দলে কি পরিবর্তন আসতে পারে, ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে তাই আপনারা কি দু'একজনকে বিশ্রাম দেয়ার কথা ভাবছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন জাগো নিউজকে জানান, 'না না, অমন কিছু করার প্রশ্নই আসে না। আমরা তেমন কিছু ভাবছি না। আর ভাবার কোনো কারন আছে বলেও মনে করি না।'
দল জয়ের মধ্যে আছে। এই মোমেন্টামটা নষ্ট করতে চান না সুজন। তিনি বলেন, 'আমরা জয়ের পথে আছি। জয়ের পথেই থাকতে চাই। তাই দলে পরিবর্তন এনে অযথা ঝুঁকি নিতে চাই না। এটা সত্য , লাইন আপে রদবদল না করে; মানে আগের দুই ম্যাচের টিম কম্বিনেশন ও দল নিয়ে মাঠে নেমেও হারতে পারি। আসলে বলে কয়ে জেতা যায় না। দলে পরিবর্তন ঘটালেই হারবো আর আগের দল নিয়ে খেললেই জিতবো। ব্যাপারটা তেমনও নয়। তবে আমরা চাইনা দলে পরিবর্তন আনতে। আসলে একটি ম্যাচও হারতে চাইনা। হারলেই ছন্দপতন ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই লক্ষ্য সব ম্যাচ জেতা।'
তবে ম্যাচের আগে কন্ডিশন আর উইকেট দেখে লাইনআপে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন মনে হলে করবেন জানিয়েছেন সুজন। তবে আগেভাগেই কাউকে বিশ্রাম দেয়ার কথা ভাবছেন না, 'কাউকে বিশ্রাম দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। তবে হ্যাঁ, পরশু মাঠে নামার আগে জিম্বাবুয়ের লাইন আপ, উইকেট আর আবহাওয়া সব মাথায় রেখে তারপর দল সাজাবো। সেখানে যেমন কম্বিনেশন লাগসই হবে, সেটাই খেলবে।'
খালেদ মাহমুদ সুজনের ওপরের কথাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, তিন জাতি আসরে কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যাবে না বাংলাদেশ।
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম