বিশেষ প্রতিবেদন

‘বিজয় দিবসের আগেই জয়ের মালা পরবো’

‘এবারের মহান বিজয় দিবস পালন করব নির্বাচনী জয়ের মালা পরে। বিজয় দিবসের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ নির্বাচনে জয় লাভ করেই এবারের বিজয় দিবসকে বিশেষ অর্থবহ করে তুলবে সরকার।’

Advertisement

বলছিলেন, ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

জাগো নিউজ-এর কাছে এক মন্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘মহান বিজয় দিবসের আগেই জয়ের মালা পরবো আমরা।’

কত তারিখে নির্বাচন হতে পারে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তবে বছর শেষে নির্বাচন হওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সরকারপ্রধানও নির্বাচন নিয়ে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।’ সরকার এবং তার দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন মেনন।

Advertisement

সরকারের মধুলগ্নে বিষাদের সুর বেজেছিল। টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জ যখন, তখন সুরে ছন্দ পতন ঘটার আশঙ্কাই তীব্র হয়। তাই ঘটেছিল গত নির্বাচন ঘিরে। অভ্যন্তরীণ আর বিদেশি চাপে প্রায় টালমাটাল হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় সরকার। দাবি উঠেছিল ফের নির্বাচনের। সরকারে লোকজনও এমন প্রতিশ্রুতির কথা শুনিয়েছিল। শেষ বেলায় ধোপে টেকেনি ফের নির্বাচনের দাবি।

সময়ের ব্যবধানে মধুলগ্ন যেন ধরা দিয়েছে সরকারের শেষ বেলায়। চার বছর পার করে সরকার এখন অধিক আত্মবিশ্বাসী। নির্বাচনী বৈতরণীতে দোল খাচ্ছে সরকার।

সরকার কৌশলী আর মারমুখী অবস্থান নিয়ে মাঠ ছাড়া করেছে বিরোধীজোটকে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সরকার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে চলছে সেই ২০১৩ সালের পর থেকেই। আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী পক্ষ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বও মামলার জালে নাজেহাল। টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজের প্রতি অধিক নির্ভার হয়ে এখন বিশ্বনেতা। আর এতদিনেও কোমার সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি বিএনপি-জামায়াত জোট।

অন্যদিকে উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করে আত্মবিশ্বাসের গতি বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট। দুর্নীতি, অনিয়মে উন্নয়নের আলো খানিক ম্লান হলেও জনঅনাস্থা তাতে তীব্র হয়নি। সরকার আস্থা পাচ্ছে প্রশাসনও। পাশের দেশ ভারতও আওয়ামী লীগে ভরসা পায়, যা প্রমাণিতও বটে। এসবে ভর করেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনী মাঠে খানিক সুখ অনুভব করছে এখন। সরকারের আলোচনায় নির্বাচনী মুখ্য হয়ে উঠছে যেন।

Advertisement

গত ১২ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উন্নয়নের ফিরিস্তি শুনিয়েছেন। বছর শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে বক্তব্যে উন্নয়নের কথাই নানাভাবে জানান দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘উন্নয়নই আমাদের ভরসা। মানুষ উন্নয়নের রসদ পাচ্ছে। সরকার নাগরিকের আবেগ বুঝেই উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে। উন্নয়নের পথ ধরেই সরকার ফের ক্ষমতায় আসবে বলে বিশ্বাস করি।

এএসএস/জেএইচ/আরআইপি