অন্ধ এবং মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে গণধর্ষণের দায়ে দুই অভিযুক্তকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের মালির জেলার অতিরিক্ত আদালত। একই সঙ্গে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে যৌথভাবে ওই তরুণীকে আরো এক লাখ পাকিস্তানি রূপি ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দিয়েছেন।
Advertisement
রোববার পাকিস্তানি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, আদালতে দোষী সাব্যস্ত দুই ধর্ষকের একজন বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছে। জামিন বাতিল করে তাকে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রহিম ইয়ার খান এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহমেদ ২০১৬ সালের ৫ মে মানসিক প্রতিবন্ধী ও অন্ধ মেয়ের চিকিৎসার পরামর্শ নেয়ার জন্য তার জামাতার বাড়িতে যান। এসময় অভিযুক্ত দুই ধর্ষক সাজিদ এবং মুনির তাদের বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সব সদস্যকে জিম্মি করে রাখে।
পালিয়ে যাওয়ার আগে অন্ধ ওই তরুণীকে মারপিট ও গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। তবে আদালতে ওই তরুণীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা দুই ধর্ষককে সনাক্ত করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এছাড়া চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যালের টিমের সদস্যরাও আদালতে তাদের বিশেষজ্ঞ মতামত দেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে দু’জন।
Advertisement
এর আগে, দেশটির সাচল পুলিশ স্টেশনে ওই তরুণীর বাবা-মা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু সেখানকার তদন্ত কর্মকর্তা জুমানি অপরাধীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে অন্ধ মেয়েটির বাবা মিথ্যাচার করছেন বলে মন্তব্য করেন। পরে অভিযুক্ত মুনির জামিনে মুক্তি পান। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা জুমানির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।
পরে ডিএনএর নমুনা পরীক্ষায় ওই দুই অভিযুক্তই অন্ধ তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। সন্দেহভাজন দুই ধর্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। পরে আদালতে শুনানি শেষে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
এসআ্ইএস/জেআইএম
Advertisement