খেলাধুলা

হারের বৃত্তেই অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ ইংল্যান্ডের

অ্যাশেজ সিরিজে বাঘের হুংকারে ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দেয়া অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজে এসে যেন বিড়াল হয়ে পড়েছে। একের পর এক পরাজয় দেখেই চলেছে তারা। সিডনিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে অজিদের ১৬ হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ইয়ন মরগানের দল।

Advertisement

জস বাটলারের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ৩০২ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পুরো ৫০ ওভার খেললেও ২৮৬ রানের বেশি এগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। অথচ তাদের হাতে ৪টি উইকেট ছিল।

টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সিদ্ধান্তটা খুব খারাপ ছিল, বলা যাবে না। অজি বোলারদের তোপে শুরু থেকে তেমন সুবিধা করতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ১০৭ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট হারিয়ে বসে মরগানের দল।

মরগান আর জস বাটলার মিলে সে বিপদ কিছুটা সামলে উঠেছিলেন। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফিরেন মরগান (৪১)। এরপর মঈন আলীও ৬ রান করে আউট হলে ১৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে ইংলিশরা। তবে বাটলার হাল ছাড়েননি।

Advertisement

সহজাত মারকুটে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে তিনশো পার করে দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ৮৩ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় হার না মানা ১০০ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ক্রিস ওকস। ৩৬ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন লোয়ার অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে বড় জুটি না পেলেও একটা সময়ে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩৪ ওভারে ৩ উইকেটেই তারা তুলে ফেলেছিল ১৮১ রান। সেখান থেকে দলকে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরান ইংলিশ বোলাররা। উইকেট তুলে নেয়ার চেয়ে নিয়ন্ত্রিত লাইন লেহ্ন বজায় রাখায় মনোযোগী ছিলেন তারা।

ফলে অ্যারন ফিঞ্চ (৬২), মিচেল মার্শ (৫৫) আর মার্কাস স্টয়নিস (৫৬) হাফসেঞ্চুরি পেলেও দলকে জয়ের মুখ দেখাতে পারেননি। স্টিভেন স্মিথ ৪৫ রান করেন। আর টিম পেইনি অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। তবে এর মধ্যে স্টয়নিস ছাড়া বাকি সবাই রানের চেয়ে বল খরচ করেছেন বেশি। পরে সেটি আর পুষিয়ে উঠতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড, ক্রিস ওকস আর আদিল রশিদ।

Advertisement

এমএমআর/আইআই