অনিক আজিজ স্বাক্ষর। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহর একমাত্র ছেলে। ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন। থাকতেন সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫নং ন্যাম ভবনের ৫০৪ নম্বর কক্ষে। আরেকটি রুমে থাকতেন ছোট বোন সৃষ্টি।
Advertisement
অনিকের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল ‘তোর জন্য চিঠির দিন।’ যে স্ট্যাটাসটি অনিক ভোর ৪টা ০৫ মিনিটে ফেসবুকে আপডেট করেছেন। কিন্তু সকালেই ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে পাওয়া গেল তার ঝুলন্ত মরদেহ।
অনিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অম্বিক মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকার ফার্মগেট এলাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইজ্ঞিনিয়ারিং পড়ছিল অনিক। অনিক ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মী ছিল। গত ২-৩ দিন আগে মোটরসাইকেল যোগে অনিক ঢাকায় গিয়েছিল। সেদিনই তার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। পরিবারের সঙ্গে তার কোনো মতভেদ ছিল বলে কখনো কিছু বলেনি সে। বরং পরিবারের সবাই তাকে খুব ভালোবাসত। কী কারণে আত্মহত্যা করল সেটা ধারণাই করতে পারছি না।
এদিকে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহর একান্ত সচিব জাহাঙ্গির হোসেন জানান, রোববার ভোর ৬টার দিকে এমপি লুৎফুল্লাহ সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার ন্যাম ফ্লাটে গিয়ে পৌঁছান। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ইন্টারনেট লাইনের তার দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। অনিকের চাচা শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে অনিকের মরদেহ সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হবে।
Advertisement
আকরামুল ইসলাম/এফএ/এমএস