আন্তর্জাতিক

কাবুলে হোটেলে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৬

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বিদেশি নাগরিক। হামলায় আহত হয়েছে আরও আটজন। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৯টার দিকে এই হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে বন্দুকধারীদের সঙ্গে বিশেষ বাহিনীর লড়াই চলে। খবর বিবিসি, ডন।

Advertisement

আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছে। হামলাকারীরা হোটেলে বহু মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বন্দুকধারীদের প্রতিহত করে তারা বিলাসবহুল ওই হোটেলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে তিন হামলাকারী নিহত হয়েছে। ১৫০ জনের বেশি অতিথিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বন্দুকধারীরা শনিবার রাতে হোটেলটিতে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা হোটেলে থাকা অতিথি এবং কর্মচারীদের ওপর গুলি বর্ষণ করে এবং গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায়।

Advertisement

কোনো গোষ্ঠী ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে এর আগে ২০১১ সালে আফগানিস্তানে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে হামলা চালিয়েছিল তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠী।

দেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানিশ জানান, স্পেশাল ফোর্স পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। হামলাকারীরা হোটেলে যে কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছিল তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বন্দুকধারীদের মধ্যে আত্মঘাতী হামলাকারীও ছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই হোটেলে প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে একটি আইটি কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল। এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামলাকারীরা হোটেল থেকে বহু মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে।

মাত্র কয়েকদিন আগেই কাবুলের মার্কিন দূতাবাস থেকে শহরের বিভিন্ন হোটেলে থাকার বিষয়ে নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়, কাবুলে অবস্থিত বিভিন্ন হোটেলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো হামলার পরিকল্পনা করছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত একটি হোটেলে হামলা চালানো হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছিল।

Advertisement

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জনসমাগম হয় এমন স্থানে, সরকারি ভবনে, বিভিন্ন পরিবহনে, মার্কেটে এবং বিদেশী নাগরিকরা সমবেত হয় এমন কোনো স্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো।

টিটিএন/পিআর