গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হওয়া মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের এই মোনাজাত রোববার বেলা সকাল সাড়ে ১০টা ২০ মিনিটের দিকে শুরু হয়।
Advertisement
মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা প্রাঙ্গণে ঢল নেমেছে লাখো মানুষের। ময়দানের আশপাশের রাস্তায়ও অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। এই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়। বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। প্রথম পর্বের ন্যায় এবারও আরবি এবং বাংলায় মোনাজাত পরিচালনা করছেন বাংলাদেশর কাকরাইল মসজিদের ইমাম তাবলিগের অন্যতম শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আজ ভোর থেকেই শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি মহাসড়কে হেঁটে ও ট্রেনে করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গিয়ে সমবেত হয়েছেন। বিপুলসংখ্যক নারী মুসল্লিও মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমার আশপাশের সড়কে সকাল থেকেই অবস্থান নেন। এ সময় তারা ইসলামের আমল, আকিদা ও দাওয়াত বিষয়ে দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের বয়ান শোনেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
Advertisement
ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা বলেছেন, ইজতেমায় অংশ নিয়ে তারা দেশ ও মানুষের জন্য দোয়া করবেন। ইজতেমার শিক্ষা আমল করে ইসলামী জীবনাচরণে তারা মনোনিবেশ করবেন। আখেরি মোনাজাত শেষে ইসলামী দাওয়াতি কাজে অংশ নেবেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে দু’পর্বের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা। এরই মধ্যে দেশের নির্ধারিত ১৬ জেলার মুসল্লিরা ময়দানে অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। আগত মুসল্লিদের কাছ থেকে দোকানিরা যাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। তারা বিভিন্ন খাবারের দোকানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাবারের গুণগত মান যাচাই করে কোনো সমস্যা পেলে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ৭৫টি সংস্থা কাজ করছে। যা সার্বিক মনিটরিং করছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন।
Advertisement
এমএ/বিএ/এমএস